অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে নিম্নমানের আলু বিতরণ ও পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল ও আলু না দেওয়াকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো গাজলের বটতলী এলাকায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে।

0
1418

গাজোল ,সব্যসাচী মন্ডল:- অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে নিম্নমানের আলু বিতরণ ও পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল ও আলু না দেওয়াকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো গাজলের বটতলী এলাকায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। যদি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা।এলাকাবাসী অভিযোগ করছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যে এমনটাই দাবি করলেন তারা। ঘটনার জেরে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকাবাসী। অবশেষে গাজোল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
গাজোল ব্লকের মাঝরা অঞ্চলের পশ্চিম কসবা ৭০২ নং আইসিডিএস সেন্টার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করার সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল আলু এবং নিম্ন মানের পচা আলু দেওয়ার অভিযোগ করেন শিশুদের অভিভাবকরা। তারা জানান বিগত দিনগুলিতে আইসিডিএস সেন্টার ঠিকমতো খাবার সরবরাহ করা হয় না। বর্তমানে লকডাউন চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শিশুদের বাড়ি বাড়ি খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু তারা সেটা করেননি।পাশাপাশি যখন আইসিডিএস সেন্টারে খাদ্য সামগ্রী নিতে আসি আমাদেরকে দু কিলো চাল ও ছোট ছোট পচা আলু জোরপূর্বক দেওয়া হচ্ছিল। ঘটনার জেরে শুরু হয় বিক্ষোভ। অভিভাবকেরা এও জানান সেন্টারে যদি কোন কিছু বিতরণ হয় তার খবর বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া উচিত কিন্তু এক্ষেত্রে আইসিডিএস সহায়িকা কিংবা দিদিমণি কেউ করেন না। বরং রাস্তায় দেখা হলে খবর দেন। এদিন যখন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছিল সেই সময়ই প্রতিবাদ করে সবাই। ঘটনার খবর পেয়ে গাজোল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। পুলিশের হস্তক্ষেপে পুনরায় শুরু হয় খাদ্য সামগ্রী বিলি।
আইসিডিএস কর্মী লাবন্য বিশ্বাস জানান আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ গ্রামবাসী আনছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।আর যখন সেন্টারের চাল ও আলু বিতরণ শুরু করি তখন শিশুদের অভিভাবকরা এসে আমাকে বলে তিন কিলো চাল ও তিন কিলো আলুর 500 গ্রাম ডাল দিতে।তখন আমি জানাই সরকারি যে নির্দেশিকা রয়েছে সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী সামগ্রী দেওয়া হবে। তারা অভিযোগ করছেন পচা আলু নিয়ে, যদিও গত মানে বিতরণের পর কিছুটা আলু পচে গেছিল সেগুলির মধ্যে বেছে বেছে দিচ্ছিলাম। যাতে অসুবিধা না হয় তাদেরকে আমি ভাল আলু দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here