গাজোল:- বামন গোলা ও গাজোল থানার সীমান্তে নদীতে এক ব্যক্তির মৃতদেহ ভেসে উঠায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় । যদিও মৃতের পরিবারের অভিযোগ নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে আর এল স্কিম এর জায়গায় ঘুমানো নিয়ে দুই ব্যক্তির বচসা, এরপরে মারামারি, পরিকল্পিতভাবে খুন করে জলে ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম উত্তম সাহানি। মালদা জেলার বামন গোলা থানার বাসিন্দা সে। মৃত ওই ব্যক্তির নাম শ্রীবাস মন্ডল (৫০) বাড়ি বামন গোলা থানা এলাকার রামপুর দেবলগড় এলাকায়। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে বামন গোলা থানার পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার গাজোল বামন গোলা সীমান্তে টাঙ্গন নদীতে। আজ সকাল বেলায় নদীতে একটি মৃতদেহ ভেসে উঠতে দেখেই তুমুল শোরগোল ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনাটি গাজোল থানার সীমান্তে হওয়ায় মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে গাজোল থানার পুলিশ।
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মানিক রায় জানান রবিবার নদীতে মাছ ধরতে যায় শ্রীবাস বাবু। তারা জানতে পারেন ঘুমানোর জায়গা নিয়ে শিবাস মন্ডল ও উত্তম সাহানি মধ্যে তৈরি হয়, বচসা থেকেই মারামারি হয় দুজনের মধ্যে। এরপর থেকেই শিবাস বাবু কে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। জানিয়ে থানায় একটি মিসিং ডায়েরি করা হয় শিবাস বাবুর পরিবারের পক্ষ থেকে। আজ সকালে নদীতে শ্রীবাস বাবুর মৃতদেহ ভেসে ওঠে। গাজোল থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে গাজোল থানায়। আমাদের অনুমান শিবাস বাবুকে সম্ভবত পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। শিবাস বাবুর মাথায় ও বুকে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। যদিও অভিযুক্তকে আটক করেছে বামন গোলা থানার পুলিশ।
মৃতের ভাই বুদ্ধেশ্বর বিশ্বাস জানান মাছ ধরতে গিয়ে ঘুমানোর জায়গা নিয়ে উত্তম সাহানি সাথে বচসা শুরু হয় দাদার। বচসা থেকেই দাদাকে নৌকার বৈঠা দিয়ে মেরে খুন করে জলে ভাসিয়ে দেয় উত্তম সাহানি। এই খবরটা আমাদের স্থানীয় এক যুবক দেওয়ার পরেই আজ সকালে দাদার মৃতদেহ গাজোল ব্লকের আরাজি জলসা এলাকার এলাকায় টাঙ্গন নদীর আহরাঘাটে ভেসে উঠে। খবর দেওয়া হয় গাজোল থানায়। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। অভিযুক্ত উত্তম সাহানির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।