তৃণমূল নেতাকে বিজেপি আশ্রিত দুস্কৃতিকারীরা গুলি চালিয়ে খুন করতে এসে তার পিস্তাতো ভাইকে গুলি করল

0
1422

গঙ্গারামপুরের নারায়ণপুরে তৃণমূল নেতাকে বিজেপি আশ্রিত দুস্কৃতিকারীরা গুলি চালিয়ে খুন করতে এসে তার পিস্তাতো ভাইকে গুলি করল বলে অভিযোগ উঠেছে, দায়ের হল 4 জনের নামে অভিযোগ

গঙ্গারামপুর ,2 জুলাই, দক্ষিণ দিনাজপুর :– দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে গুরুতর জখম হলেন এক যুবক।তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে মালদায় পরে কলকাতাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার ভোরে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থানার নারায়ণপুরে। আহতের মামার অভিযোগ তার ছেলেকে ভেবে গুলি ছুড়েছিল দুস্কৃতিকারীরা। কিন্তু রাতে শৌচ কর্ম করতে ওঠা ভাগনা কে গুলি করে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিকারীর দল।এর আগেও ওই এলাকার বাসিন্দা তৃণমূল নেতাকে এই সমস্ত দুষ্কৃতিরাই গুলি করে খুন করার উদ্দেশ্যে বলে অভিযোগ উঠেছিল। যদিও তৃণমূলের অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপির জেলা সভাপতি।আক্রান্তের মামার তরফে থানায় হল চারজনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের । ফের নারায়ণপুরে এমন গোলমালে শোরগোল পড়েছে এলাকাজুড়ে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।পুলিশও আক্রান্তের পরিবার সূত্রে খবর, আহত যুবকের নাম রঞ্জন দাস বয়স 27 তার বাড়ি গঙ্গারামপুর থানার সুকদেবপুর এর নারায়ণপুরে।আক্রান্তের পরিবার সূত্রে খবর ওই এলাকার বাসিন্দা তৃণমূল নেতা সুমন দাস পাশের পাড়ায় বুধবার রাতে একটি বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিল।তাদের অভিযোগ এলাকার দুষ্কৃতী লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করা দুলু রায় , তার ছেলে দেবাশীষ রায়, এলাকার দুষ্কৃতী সনজিৎ সরকার, বংশী সরকার সহ বেশ কয়েকজন মিলে এলাকার তৃণমূল নেতা সুমনের সঙ্গে গোলমাল পাকিয়ে তাকে খুন করার পরিকল্পনা করেছিল বলে অভিযোগ তাদের।কিন্তু সেই সময় দু’পক্ষের মধ্যে কোন গোলমাল হয়নি বলেই খবর। রাত্রি বেলা তে বিয়ে বাড়ি থেকে ফেরার পথে বাড়িতে ঢুকতে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিকারীর দল সুমন ভেবে তার পিস্তাতো ভাই রঞ্জন দাস কে গুলি চালায়।সেই গুলি তার কোমরে লেগে সে গুরুতর আহত হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই তৃণমূল নেতা সুমন দাস এর পিস্তাতো ভাইকেপ্রথমে গঙ্গারামপুর পরে মালদাতে সেখানেও তার অবস্থা আরো খারাপ হলে তাকে কলকাতাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আক্রান্তের মামা তথা তৃণমূল নেতা সুমন দাস এর বাবা অনিল চন্দ্র দাস অভিযোগ করে জানিয়েছেন ওরা বিজেপি করে আমার ছেলে সুমনকে ভেবে শৌচকর্ম করতে ওঠা ভাগনা কে গুলি করে। বিজেপি সমর্থক দুলু রায়,তার ছেলে দেবাশীষ রায়, এলাকার দুষ্কৃতী সনজিৎ সরকার, বংশী সরকার সহ বেশ কয়েকজন মিলে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে তাদের আমি দেখেছি। থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে ।দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানায়। এলাকাবাসীরা অভিযোগ করে জানিয়েছেন যারা এমন ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে তারা দুষ্কৃতী। পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নিক তাদের বিরুদ্ধে সেটাই চাই ।
এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করার জন্য তারা এমন কাজ করছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের। তৃণমূল নেতা সুমন দাস জানিয়েছেন এর আগে গত বছর দূর্গা পূজার দশমীর দিন রাতে আমাকে খুন করতে এসেছিল এই সমস্ত অভিযুক্তরা।তখনো আমার স্ত্রীকে তারা গুলি করেছিল সেই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত দুলু রায় বর্তমানে পলাতক। বাকিরা সকলে জেল থেকে ছাড়া পেতে তারা আবার এমন ঘটনা ঘটালো ।আমি শেষ হলেই বিজেপি দল এখানে শক্তিশালী হতে পারে তার ব্যবস্থা করছে তারা। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক সেই দাবি জানাই। বিজেপির জেলা সভাপতি বিনয় বর্মন অবশ্য জানিয়েছেন এ ঘটনায় বিজেপি কোনোভাবেই জড়িত নয় ।তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই এমন ঘটনা। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান গঙ্গারামপুর থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী। তারা পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। এমন ঘটনায় ব্যাপক শুরু করেছে এলাকাজুড়ে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here