ভাঙ্গন রোধের কাজ চলাকালীন নদীগর্ভে তলিয়ে গেল কাজের বিশাল অংশ।বুধবার ভোররাত থেকে তীব্র ভাঙ্গনের ঘটনা সামনে আসতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের মধ্যে। বিশাল আয়তনের ভাঙন হওয়ায় বাঁধ ভেঙে গ্রামে জল ঢুকে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। হরে ঘটনার তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মানিকচক ব্লকের হিরানন্দপুর অঞ্চলের তেনুটোলা এলাকায়।যদিও তৎপরতার সাথে শেষ দপ্তরের তরফে ভাঙ্গন রোধ করতে জরুরী কালীন পরিস্থিতিতে বালির বস্তা দিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে। যদিও কোটি কোটি টাকা খরচ করে বোল্ডার পিচিং কাজ নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ায় কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী। ব্যাপক হারে ভাঙ্গন হওয়ায় দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে এলাকাবাসীর।
হিরানন্দপুর অঞ্চলের তেনুটোলা এলাকায় রয়েছে গঙ্গা নদী। বরাবরই এই অঞ্চল এলাকায় ভাঙ্গনের ঘটনা সামনে আসে প্রতিবছরই। সেদিকে লক্ষ্য রেখে সেচ দপ্তরের তরফে প্রায় 7 কোটি টাকা ব্যয়ে ভাঙ্গন রোধের কাজ শুরু হয়েছিল মাসখানেক। সেই কাজ বর্তমানে চলছে।তারই মাঝে যে এলাকায় ভাঙ্গন রোধের কাজ করা শেষ হয়েছিল সেখানেই বুধবার ভোররাত থেকে ব্যাপক হারে ভাঙ্গন হয়।ইতিমধ্যে নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে প্রায় ২৫ মিটার কাজের অংশ।আর এই ঘটনা সামনে আসতে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। যদিও বোল্ডার পিচের কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সঠিক সময় সঠিকভাবে কাজ হলে এই ভাঙ্গন হতো না বলে মনে করছে এলাকাবাসী।তবে হঠাৎই এই ভাঙ্গনের ফলে বাঁধের গোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে নদী।এই পরিস্থিতিতে ভাঙ্গনরোধে বাঁধ আটকাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতা সাথে কাজ শুরু করেছে সেচ দপ্তর।বালির বস্তা দিয়ে ভাঙা অংশে ফেলে ভাঙ্গন রোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।তবে এভাবে যে ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব নয়।তা বিগত দিনের ভয়ঙ্কর গঙ্গার রুদ্ররূপের সাক্ষী এলাকাবাসী। বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় নদী-তীরবর্তী পরিবারগুলি বাড়ির সামগ্রী ধীরে ধীরে অন্যত্রে সরিয়ে ফেলতে শুরু করে দিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,প্রতি বছরই এই সমস্ত এলাকাজুড়ে ভাঙ্গনের ঘটনা সামনে আসে। আর সেই ভাঙ্গন রোধের কাজ চলছিল হঠাৎই বিশাল অংশ নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ায় বাঁধের গোড়ায় পৌঁছেছে নদী।ভাঙ্গনের তীব্রতা বাড়লে পথ থেকে সর্বস্ব গ্রাস করবে নদী। আমরা চাই সাথে করে প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করুক আমাদের রক্ষা করুক।
এদিন ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে যান মালদা জেলা পরিষদ সদস্য ডলিরানী মন্ডল। তিনি জানায় রাত থেকে ভাঙ্গন হয়েছে ভুতনির তেনুটোলা গ্রামে । ইতিমধ্যে ২৫ মিটার বাঁধ সংলগ্ন বোল্ডার পিচিং করা এলাকা নদী গর্ভে তলীয়ে গিয়েছে। সেচ দপ্তর থেকে জরুরী পর্যায়ক্রমে কাজ শুরু করেছে ।
এই বিষয়ে সেচ দপ্তরের আধিকারিক আসীম রায় জানায় গতকাল রাতে গঙ্গানদীতে জল বাড়াই ও নদীতে চর পরেছে তাই কিছুটা ভাঙ্গন শুরু হয়েছে আজ ভোরেও হয়েছ । প্রায় ২৫ মিটার এলাকা তলীয়ে গিয়েছে । সেচ দপ্তরের তরফ থেকে এই এলাকায় প্রায় ৭ কোটি খরচে ৫৭৫ মিটার ভাঙ্গন রোধের কাজ চলছে। আমরা বালির বস্তা দিয়ে জরুরী পর্যায়ের কাজ শুরু করেছে