রায়গঞ্জ,২ জুলাই: সরকারি নির্দেশ মেনে নতুন নিশ্চয়ই যানের ভাউচার নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বুধবার দুপুরে এই বিভ্রান্তির কারণে সমস্যায় পড়েন বিভিন্ন এলাকা থেকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজে আসা প্রসূতি এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা। সদ্যোজাতকে কোলে নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় নতুন ভাউচার হাতে পাওয়ার জন্য। কোথায় গেলে সমস্যা মিটবে তাও একপ্রকার জানা ছিল না কারোরই।
যতক্ষণ পর্যন্ত না নতুন ভাউচার নিশ্চয় যানের চালকরা পেয়েছেন ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের কোনো ভাবেই গাড়ি চালানোর কোন অনুমতি ছিল না বলেই অভিযোগ করেছিলেন চালকদের একাংশ। শেষমেষ রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ অবস্থা গুরুত্ব বুঝতে পেরে এগিয়ে এসে সমস্যা মেটান।
কারো বাড়ি রায়গঞ্জ ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রামে। কারো আবার করণদিঘি এলাকায়। কেউবা আবার ইটাহার থেকে এসেছেন। বাড়িতে থাকা প্রসূতিদের চিকিৎসার জন্যই নিয়ে আসা হয়েছে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এখানে এসে কেউ বাবা হয়েছেন, কেউবা চাচা কাকা মামা হয়েছেন। সুস্থ প্রসূতি এবং তার সদ্যোজাতকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় তারা পড়েছেন সমস্যায়। নিশ্চয় যানের নতুন ভাউচার হাতে না পাওয়ায় অ্যাম্বুলেন্সের চালকরা গাড়ি চালাতে অস্বীকার করেন। তাদের দাবি নতুন ভাউচার নিয়ে এসে চালকদের হাতে দেওয়ার যে নিয়ম সরকারের তরফ তৈরি করা হয়েছে তাতে অনেক বিভ্রান্তি রয়েছে। সেই বিভ্রান্তি না মিটলে রোগীর পরিবারের পাশাপাশি চালকদের একাংশ পড়ছেন সমস্যায়। তাই রোগীকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ইচ্ছে থাকলেও তারাও কোনোভাবেই পারছিলেন না। অন্যদিকে প্রস্তুতি এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা সদ্যোজাতকে সঙ্গে নিয়ে কেউ একঘন্টা দুঘন্টা কেউ আবার তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করতে বাধ্য হয়েছিলেন। শেষমেষ রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ দ্রুত এই বিভ্রান্তি কাটিয়ে চালকদের হাতে ভাউচার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। অবশেষে হাসিমুখে সদ্যোজাতকে সঙ্গে নিয়ে পরিবারের লোকেরা ফেরেন বাড়িতে।