রামচন্দ্রপুর সিধু কানু মাঠের চারপাশে বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগানো হলো আদিবাসী সমাজের মানুষজনদের তরফে।

0
890

গঙ্গারামপুর ৫ই জুলাই দক্ষিণ দিনাজপুর:-একটি গাছ একটি প্রাণ, সে কথা কে সামনে রেখেই এবার আদিবাসী সমাজের মানুষজন রা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করল। রবিবার বেলা 11 টা নাগাদ দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর ব্লকের 5 নম্বর দমদমা গ্রাম পঞ্চায়েতের, রামচন্দ্রপুর সিধু কানু মাঠের চারপাশে বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগানো হয়। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য সেখানে জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি ,,এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অঞ্চল নেতা, বিশিষ্ট সমাজসেবী থেকে শুরু করে আদিবাসী সমাজের বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন। এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলেই।


দমদমা গ্রাম পঞ্চায়েতের রামচন্দ্রপুর এলাকায় 2005 সালে সিধু কানুর মাঠের পাশে গ্রাম যা আদিবাসী কবরস্থান রয়েছে। সেখানে পঞ্চায়েতের তরফে সেই সময় বহু গাছ লাগানো হয় ।বর্তমানে গাছগুলি ভেঙে পড়তে থাকায়, আদিবাসী কবরস্থান কমিটির তরফ এ পঞ্চায়েতের অনুমতি নিয়ে কিছু গাছ কেটে ফেলেন কয়েকদিন আগে, যেহেতু কিছুদিন আগেই আরফানের মত বিরাট তাণ্ডব চলেছে কমবেশি রাজ্যের সমস্ত জেলাতেই সেই কারণেই বহু গাছ পড়ে নষ্ট হয়েছে, তখন সারা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায়। তাই যেন পরিবেশের সব দিকের ভারসাম্য বজায় থাকে, সেই জন্য রামচন্দ্রপুর আদিবাসী কবরস্থান কমিটির তরফ থেকে ওই কবরস্থানের চারপাশে বহু গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নেয় আদিবাসী সমাজের তরফে। তাদের সেই কাজে এগিয়ে আসার জন্য জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি স্থানীয় পঞ্চায়েত সমাজসেবী দের এগিয়ে আসার আবেদন জানান। রবিবার রামচন্দ্রপুর আদিবাসী কবরস্থান কমিটি একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সেখানে বৃক্ষরোপনের কর্মসূচি পালন করা হয়। এর পরেই কবরস্থানের চারিদিকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি ললিতা টিক্কা, দমদমা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কার্তিক সরকার, উপপ্রধান দিলীপ টুডু, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য কর্নেলিয়াস মুর্মু , দমদমা অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি তপন কান্তি মজুমদার, সমাজসেবী আনন্দ দাস, আনোয়ার হোসেন, মকবুল মুন্সি ,কমল রায় ,আদিবাসী সমাজের মাঝি হারাম মুন্সি মুর্মু, সাহেব মার্ডি, যোগেন কিস্কু রা বৃক্ষরোপণ করেন। এদিন কবরস্থানের পাশেই বাসিন্দাদের বসার জন্য একটি জায়গার কাজের সূচনা করেন জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি ললিতা টিক্কা।
জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি ললিতা টিক্কা জানিয়েছেন, গাছ না থাকলে মানুষ থাকতে পারে না। কত বছরের পুরনো আদিবাসীদের এই কবরস্থান সেটা আমরা জানি না। তাদের এই কবরস্থানের চারপাশে প্রাচীর দেওয়ার জন্য টেন্ডার হয়েছে বলে শুনেছি। এমন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে নিজেকে ধন্য বলে মনে করছি।
দমদমা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কার্তিক সরকার জানিয়েছেন, আদিবাসী সমাজের মানুষজনদের এমন বৃক্ষরোপনের মতো মহান কাজ করার জন্য তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফ থেকে।
দমদমা গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি তথা সমাজসেবী তপন কান্তি মজুমদার জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে এই কবরস্থানের চারপাশে মানুষের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে কিছু পুরোনো গাছ কাটতে হয়েছিল তাদের। আদিবাসী কবরস্থান উন্নয়ন কমিটি তরফে রবিবার অনুষ্ঠান করে তারাই বহু গাছ লাগিয়েছে সেই সমাজের মানুষজন এরাই। তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি মাত্র। তাদের পাশে আমরা সবসময় আছি আর আগামী দিনেও থাকবো।
তেমন অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজন এদের উপস্থিতি আদিবাসী সমাজের মাঝিয়ারা খুবই খুশি হয়েছেন, তারা জানিয়েছেন, আমাদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়,তাই এমন কাজে আমাদের সঙ্গে যারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
এদিনের বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি ললিতা টিকা, দমদমা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কার্তিক সরকার , উপপ্রধান দিলীপ টুডু, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য কর্নেলিয়াস মুর্মু , দমদমা অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি তপন কান্তি মজুমদার, সমাজসেবী আনন্দ দাস, আনোয়ার হোসেন, মকবুল মুন্সি, কমল রায় ,আদিবাসী সমাজের মাঝি হারাম মুন্সি মুর্মু, সাহেব মার্ডি, যোগেন কিস্কু সহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।


আদিবাসী সমাজের তরফে বৃক্ষরোপণের মত এমন উদ্যোগ নেওয়ায় সাধুবাদ জানিয়েছে সকলেই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here