উত্তর দিনাজপুর:-নিজের বাড়ির বাথরুমে এক বিধবা মহিলার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ থানার বিন্দোল এলাকার আধাবহর গ্রামে। মৃতার নাম মাজেদা খাতুন ( ৫৬) । মৃতার আত্মীয়দের অভিযোগ বাড়িতে একা থাকার সুযোগ নিয়ে দুস্কৃতীরা টাকা পয়সা ও সোনার গহনা লুট করতে এসেছিল। মাজেদা খাতুন তাদের চিনে ফেলায় তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে পালিয়ে গিয়েছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠানোর পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ থানার বিন্দোল এলাকার আধাবহর গ্রামের বাসিন্দা মাজেদা খাতুন বাড়িতে একাই থাকতেন। তাঁর দুই ছেলেই ভিনরাজ্যের শ্রমিকের কাজে হরিয়ানায় আছে। গত কয়েকদিন আগেই দুটি খাসী বিক্রি করে ১৮ হাজার পেয়েছিলেন মাজেদা। এছাড়াও ছেলেরা রোজগার করে টাকাপয়সা পাঠাতো সেটাও বাড়িতে রাখা ছিল। মৃতা মাজেদা খাতুনের বোনপো আবদুল হোসেন জানিয়েছেন, তাঁর মাসীর কিছু গয়নাও ছিল। গত শুক্রবারও তাঁর মাসী মাজেদা খাতুনকে এলাকার বাসিন্দারা দেখেছেন। শনিবার থেকে তাঁর খোজ পাওয়া যাচ্ছিলনা। দুস্কৃতীরা সেই টাকাপয়সা ও সোনার গহনা লুট করতে এসে তাদের চিনে ফেলায় সকলের নজর এড়াতে বাথরুমে গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ দিয়ে খুন করা হয়েছে তাঁকে। রবিবার মৃতার এক আত্মীয় বাড়িতে খোঁজ নিতে গিয়ে বাড়িঘরের জিনিসপত্র তছনছ অবস্থায় দেখতে পান। বাড়ির উঠোনে পাওয়া যায় আলমারির চাবি। খবর দেওয়া দেওয়া হয় রায়গঞ্জ থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে বাথরুম থেকে মাজেদা খাতুনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রায়গঞ্জের বিন্দোল এলাকায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।