তৃণমূল বিধায়কের পজিটিভ রিপোর্ট প্রকাশ্যে, কুমারগঞ্জে করোনা নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অভিযোগ তুলে সরব বাম-বিজেপি। মামলা রজু হবে না কেন? প্রশ্ন সাংসদের।
পিন্টু কুন্ডু , বালুরঘাট, ১০ জুলাই——- কুমারগঞ্জে তৃণমূল বিধায়কের করোনা পজিটিভের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই সাধারনের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অভিযোগ তুলে সরব বাম-বিজেপি। প্রাথমিক পরীক্ষায় পজিটিভ হওয়ার পরেও হোম কোয়ারেন্টাইনে না গিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানো ও সভা করার অভিযোগও উঠেছে ওই তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। বুধবার মালদা মেডিকেল কলেজ থেকে সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট পজেটিভ আসতেই কুমারগঞ্জ ব্লকের তৃণমূল বিধায়ক তোরাব হোসেন মন্ডলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। জেলাবাসীর সাথে তাঁদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার তৃণমূল নেতাদের কে দিয়েছে ? এমন প্রশ্ন তুলেও সরব হয়েছেন তিনি। কেন ওই বিধায়কের বিরুদ্ধে ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট ধারায় মামলা রুজু হবে না সেই প্রশ্ন তুলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন সাংসদ।
জানা গেছে, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সহ বেশকিছু নেতা তাদের করোনা পরীক্ষা করান। যেখানে প্রাথমিক ট্রুনাট পরীক্ষায় পজিটিভ রিপোর্ট আসে কুমারগঞ্জের বিধায়ক তোরাব হোসেন মন্ডলের। যার পরেও তিনি সাংবাদিক সম্মেলন থেকে শুরু করে সভা, প্রকাশ্যে ঘুরেও বেরিয়েছেন বলে অভিযোগ বিজেপি সাংসদের। আর এমন ঘটনা করে সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন ওই বিধায়ক বলেও একযোগে অভিযোগ করেছেন জেলার বাম-বিজেপি নেতৃত্বরা।
বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, তিনি আক্রান্ত না হওয়া সত্ত্বেও তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়েছিল প্রশাসনিক নির্দেশে। কিন্তু প্রাথমিকভাবে করোনা পজিটিভ হওয়ার পরেও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়িয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক। পরে তার সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ফলে কেন ওই বিধায়কের বিরুদ্ধে বিশেষ ধারায় মামলা হবে না। করোনা পরিস্থিতি না হলে এর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতো বিজেপি বলেও জানিয়েছেন সুকান্তবাবু।
গঙ্গারামপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি গৌতম দাস জানিয়েছেন, তিনি যথেষ্ট সচেতন মানুষ। তাকে প্রশাসন কি নির্দেশ দিয়েছিল সে ব্যাপারটি তিনি জানেন না। রিপোর্ট না আসা অবধি সকলকেই সচেতন থাকা উচিত। বিষয়টি জানবার পরেই তার সংস্পর্শে আসা সকলকেই হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সকলেই যাতে সরকারি নির্দেশ মেনে চলেন সে ব্যাপারটিও জানানো হয়েছে।
আর এসপির যুব সংগঠনের জেলা সম্পাদক সরোজ কুন্ডু জানিয়েছেন, একজন বিধায়ক হিসাবে তাকে এব্যাপারে যথেষ্ট দায়ীত্বশীল হওয়া উচিত ছিল। নিজেদের সিদ্ধান্ত এরা নিজেরাই মানছে না। আর যার জন্য সাধারণ মানুষ বিপদে পড়ছে।