স্বামী ও শ্বশুর বাড়ি থেকে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে আশায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন আত্মীয়-স্বজনেরা মিলে তাকে খুন করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ।

0
1391

শীতল চক্রবর্তী ,গঙ্গারামপুর, ১০ই জুলাই ,দক্ষিণ দিনাজপুর:-শ্বশুরবাড়িতে এসে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থানার কালদিঘির যগতী এলাকায়। মৃতের আত্মীয়-পরিজনদের অভিযোগ, বহুদিন ধরে চলা সমস্যা সমাধানের পর স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে আশায় গৃহবধূ ও তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠা তার এক নিকট আত্মীয়সহ বাড়ির পাঁচজন মিলে চরম অত্যাচার করে তাকে খুন করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিয়েছে সকলে মিলে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে সে আত্মহত্যা করেছে বলে নাটক করেছে তারা। থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়ে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ব্যাপক শোরগোল পড়েছে এলাকাজুড়ে।
পুলিশ জানায় মৃত যুবকের নাম অবাইদুল মিঞা, বয়স 30 তার বাড়ি গঙ্গারামপুর থানার নেহেম্বার বনপুকুর এলাকায়। মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, বছর তিনেক আগে অবাইদুল মিঞা গঙ্গারামপুর থানার কালদিঘীর যগতী এলাকার বাসিন্দা শরিফ উদ্দিন মিঞার মেয়ে ছালেমা খাতুনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে ওই গৃহবধূ শ্বশুর বাড়ি নেহেম্বার বনপুকুর এলাকা থেকেই মাঝে মধ্যেই বাবার বাড়ি কালদিঘি যগতী এলাকায় চলে আসত। এই ঘটনা নিয়ে ছেলের বাড়ির এলাকায় বসে বিষয়টি মিটিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তেমনি মেয়ের বাড়ি কালদিঘীর যগতী এলাকায় গত জুন মাসের 16 তারিখে আপস মীমাংসা করে গৃহবধূকে বাবার বাড়ি থেকে শশুর বাড়িতে ফিরে যাবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দু’পক্ষই তা মেনে নেয় যা পঞ্চায়েতের প্রধান কে বিষয়টি জানানো হয় লিখিতভাবে বলে খবর।
মৃত অবাইদুল মিঞার পরিবার সূত্রে খবর, স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়ি থেকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবার জন্য বুধবার বিকেলে তার শ্বশুরবাড়ি কালদীঘি যগতী এলাকায় এসেছিল। শুক্রবার সকালে শ্বশুর বাড়ি থেকে অবাইদুলের বাড়িতে খবর দেওয়া হয় যে,সে আত্মঘাতী হয়েছে তাদের বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে গিয়ে। পরে তারা এসে দেখতে পান যে, শ্বশুরবাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে একটি জায়গায় তার দেহ ঝুলছে। পরে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ কে খবর দিলে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
মৃতের আত্মীয় তথা বিশিষ্ট সমাজসেবী বইজুর রহমান, আরেক আত্মীয় সরফরাজ আহম্মেদরা অভিযোগ করে বলেন, প্রথমে যুবককে শারীরিক নির্যাতন করে খুন করেছে। মৃতের গলায় সহ বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনায় মৃতের স্ত্রী ছালেমা খাতুন, শাশুড়ি আকমল বিবি, শশুর শরিফউদ্দিন মিঞা, শালা মসকান মিঞা ও তার নিকট আত্মীয় যার সঙ্গে ওই গৃহবধূর সম্পর্ক ছিল তপন থানার শ্যামনগর এলাকার বাসিন্দা মতিউর মিঞা খুনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। তাদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।
মৃতের দুই প্রতিবেশী নাজমুল সামীম, রফিকুল ইসলামেরা অভিযোগ করে বলেন, ও খুবই ভালো ছেলে ছিল। এমন ঘটনায় যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ তদন্ত করে কড়া ব্যবস্থা নিক সেটাই চাই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here