পিন্টু কুন্ডু , বালুরঘাট, ১১ জুলাই:-অল্প বৃষ্টিতেই জলমগ্ন বালুরঘাট। বেহাল নিকাশী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সরব বাসিন্দারা। পুরসভার অপরিকল্পিত মাস্টারপ্ল্যানে নির্মিত ড্রেনের জলে ডুবছে এলাকা। রাস্তার বদ্ধ জমা জলে জাল ফেলে অভিনব প্রতিবাদ বাসিন্দাদের। শহরের মানুষের পাশে দাড়িয়ে পুর প্রশাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার হুশিয়ারি বিজেপির। শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরের ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের উঁচাবঙ্গী এলাকার ঘটনা। এদিন রাস্তার জমা জলে জাল ফেলে প্রতিকী মাছ ধরে প্রশাসনের অদূরদর্শিতার কথা সামনে তুলে ধরেন বসিন্দারা। প্রশাসন পরিচালিত বালুরঘাট পৌরসভা বাসিন্দাদের অসুবিধা দূর করতে যে একেবারেই অপারগ, সে বিষয়ে সরব হয়েছেন সকলেই।
বাসিন্দাদের দাবি, বাম আমলেই তৈরি হয়েছিল পুরসভার এই মাস্টারপ্ল্যানের ড্রেন। তার আগে পর্যন্ত এলাকায় কোনো রকমই জল জমে থাকতো না। বৃষ্টির জল নয়নজুলি দিয়ে বাইরে চলে যেত এলাকার। কিন্তু তারপরে অপরিকল্পিতভাবে এই মাস্টার প্ল্যানের ড্রেন তৈরি হতেই প্রতি বছর সামান্য বৃষ্টিতেই জল দাঁড়িয়ে পড়ে রাস্তায়। দীর্ঘদিন সেই জল জমে থাকার ফলে যাতায়াতে চরম সমস্যায় পড়েন বাসিন্দারা। বিষয়টি নিয়ে পুর্বতন চেয়ারম্যান ও বর্তমান প্রশাসক পরিচালিত পুরসভাকে একাধিকবার জানিয়েও কোনো ফল হয়নি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। আর যার প্রতিবাদেই এদিন রাস্তার জমা জলে জাল ফেলে মাছ ধরে অভিনব আন্দোলন করেছেন বসিন্দারা। এদিন বাসিন্দাদের আন্দোলনকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে এলাকায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিজেপির টাউন কমিটিও। তারাও অতি দ্রুত ড্রেন সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
এলাকার বাসিন্দা চুমকি সরকার ও মৃগাঙ্ক চক্রবর্তীরা জানিয়েছেন, সামান্য বৃষ্টিতে এলাকায় জল জমে চলাচলের ভীষণ অসুবিধা সৃষ্টি হয়। বিষয়টি বর্তমান পৌরসভার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি। যার প্রতিবাদে এদিন রাস্তায় জাল ফেলে আন্দোলনে নেমেছেন সকলেই। এরপরেও সমাধান না হলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন তারা।
বিজেপির শহর মন্ডল সভাপতি সুমন বর্মন জানিয়েছে, বাম আমলে মাস্টারপ্ল্যান আর তৃণমূল আমলে ছাত্র প্ল্যানে তৈরি হয়েছে ড্রেন। আর যার খেসারত গুনছেন শহরের সাধারণ মানুষ। পুরসভা দুর্নীতি করে সঠিক কাজ না করায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বাসিন্দাদের সুন্দর এই আন্দোলনকে পূর্ণ সমর্থন জানান তিনি।
বালুরঘাটের পুরপ্রশাসক তথা মহকুমাশাসক বিশ্বরঞ্জন মুখার্জ্জী জানিয়েছেন, জাল ফেলুক বা নৌকো চালাক তার কিছু করবার নেই। নিচু এলাকায় ঘরবাড়ি তৈরি করেছে তাই এমন সমস্যা থাকবেই