শীতল চক্রবর্তী গঙ্গারামপুর ২২ জুলাই দক্ষিণ দিনাজপজর:۔পিচের রাস্তা নির্মাণ করার পরে বছরখানেকের মধ্যেই সেই রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ায় সমস্যায় পড়েছেন ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী পথচারী থেকে এলাকাবাসী সকলেরই বলে অভিযোগ উঠেছে।উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের দুটি রাস্তার জন্য প্রায় চার কোটি টাকার উপরে বরাদ্দ করে দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর ব্লকের নামতর থেকে কালোমাটি ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ভায়া গরুমারা পর্যন্ত।৫–৬ কিলোমিটার পিচের রাস্তা নির্মাণ করার জন্য ২০১৬ সালের শেষের দিকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর থেকে দুই কোটির ওপরে টাকা বরাদ্দ করে কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন।সেই সময় এলাকাবাসীর সমস্যার কথা মাথায় রেখে চার মাসের মধ্যেই সেই কাজ শেষ করে মানুষজনের চলাচল করার সুবিধা করে দিয়েছিলেন বলে খবর। সেই সময় পাশের একটি রাস্তার জন্য বিপ্লববাবু উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর এর দুই কোটি টাকার ওপরে বরাদ্দ করে বালি হারা হাই স্কুল থেকে সৈয়দপুর বিদ্রোহী মোর ভায়া চকবাহারি পর্যন্ত দুই কোটি টাকার উপরে খরচ করে পিচের রাস্তার কাজ সম্পন্ন করে দিয়েছিলেন। তখন মানুষজনদের সমস্যা দূর হয়েছিল বলে খবর।
হরিরামপুর ব্লক এর বালিহারা হাই স্কুল থেকে সৈয়দপুর বিদ্রোহী মোড় ভায়া চকবাহারী পর্যন্ত নামতোর থেকে কালো মাটি 34 নম্বর জাতীয় সড়ক ভায়া গরুমারা পর্যন্ত প্রায় দুইটি রাস্তা মিলিয়ে 10 কিলোমিটারের এই রাস্তাটি গত 2017 সালের বন্যার পর থেকেই বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ পথচারী থেকে শুরু করে এলাকাবাসীর এই রাস্তা দিয়ে চলাচল কারী ও এলাকাবাসীর অভিযোগ ওই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন প্রায় হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে থাকে নিজেদের প্রয়োজনে। কৃষিভিত্তিক এলাকা বলে পরিচিত কালো মাটি থেকে সৈয়দপুর, জাতি গ্রাম, হরিরামপুর এলাকাগুলিতে যেতে গেলে কালো মাটিতে ভরপুর রয়েছে যেন রাস্তা তো নয় মরণ ফাঁদ। রাস্তার আশেপাশে রয়েছে স্বাস্থ্য কেন্দ্র, সেন্টার, পঞ্চায়েত অফিস থেকে শুরু করে ব্যাঙ্ক সহ সরকারি অফিস। সেখানে যেতে হলে মানুষজনদের সমস্যার শেষ নেই বলে অভিযোগ তাদের। বেহাল রাস্তার কারণে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল কারী মানুষজনদের দুঃখের শেষ নেই। কোন বিপদ হলে ওই রাস্তা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স থেকে শুরু করে কোন জান ওই এলাকায় যেতে রাজি হয় না বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের।
রাস্তা দিয়ে চলাচল কারী এলাকাবাসী স্বপন কর্মকার, দোকানদার খাইরুল ইসলাম, ভবেশ সরকার, টোটো চালক কুলিন পাহানারা অভিযোগ করে বলেন, গত 2017 সালের ভয়াবহ বন্যায় রাস্তার আর কিছু নেই। সামান্য বৃষ্টিতেই জুতো মাথায় করে চলাচল করতে হয়। তারা সমস্যা সমাধানে হরিরামপুরের বিডিও এর দারস্ত হবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
সৈয়দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শাহনাজ পারভীন জানিয়েছেন, সমস্যার বিষয়টি শুনেছি, ব্লক অফিসে জানিয়ে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।
হরিরামপুর ব্লকের বিডিও শ্রীমান ব্যানার্জি জানিয়েছেন,যেন এই লক ডাউনের পরে সমস্যা মিটে যায় তার জন্য চেষ্টা করবো।
এখন দেখার এটাই যে ,কবে নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী দেখানো রাস্তায় আমাদের রাস্তা দেখাবে রাস্তা সংস্কার করে বাসিন্দাদের সমস্যা কবে নাগাদ মিটে যায় সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে সকলেই।
Home বাংলা উত্তর বাংলা হরিরামপুরের রাস্তা নেই সমস্যায় এলাকাবাসীরা, সমস্যা সমাধানের আশ্বাস প্রশাসন ও ...