পিন্টু কুন্ডু , বালুরঘাট, ১২ জুলাই:-কোটি টাকা ব্যয়ে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার রাস্তা হাত দিয়ে টানতেই উঠে আসছে আস্ত রাস্তা। অবাক করা এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়েছে দক্ষিন দিনাজপুরের কুমারগঞ্জে।রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন গ্রামবাসীরা। শনিবার কুমারগঞ্জ ব্লকের রামকৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তাজপুরে এই ঘটনা সামনে আসতেই প্রতিবাদ জানিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন স্থানীয়রা। বাসিন্দাদের অভিযোগ হাত দিয়ে টানতেই উঠে যাচ্ছে রাস্তার পিচের চাদর। যার প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জেলা পরিষদের কাজ হলেও ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন কুমারগঞ্জ ব্লকের বিডিও দেবদত্ত চক্রবর্তী।
বিডিও দেবদত্ত চক্রবর্তী জানিয়েছেন, রাস্তাটি তৈরি করছে জেলা পরিষদ। তবুও তিনি খোঁজ নিয়ে দেখছেন।
কুমারগঞ্জের রামকৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিশ্বনাথপুর থেকে চাঁদপুর শ্মশান ঘাট পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। গত বছর প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা প্রকল্পের মাধ্যমে দুই কোটির ও বেশি টাকা ব্যয়ে ওই রাস্তা পাকা করার কাজ শুরু হয়। যে কাজের বরাত পেয়েছিলেন গঙ্গারামপুরের ঠিকাদার তথাগত সেন। তবে লকডাউনের কারণে কিছুদিন কাজ বন্ধ থাকলেও মাসখানেক আগে পুনরায় ওই কাজ শুরু করে ঠিকাদার সংস্থা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বর্ষার মধ্যে কাজ শুরু করলেও অতি নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে দেদার রাস্তা তৈরি করছিল ওই ঠিকাদার। যার ফলে হাত দিয়ে টানলেই রাস্তা থেকে উঠে আসছে পিচের চাদর। শনিবার এমন ঘটনা সামনে আসতেই প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তার কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। তাদের দাবি এলাকার একমাত্র চলাচলের রাস্তা সঠিকভাবেই করতে হবে।
এলাকার বাসিন্দা খাদিমুদ্দিন মন্ডল, আব্দুর রহিম মন্ডল ও গোলাম মোস্তফা মন্ডলরা জানিয়েছেন, রাস্তা তৈরীর জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও ঠিকাদার সংস্থা অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে কাজ করছেন। হাত দিয়ে টানতেই পিচের রাস্তা উঠে আসছে তাদের হাতের মুঠোয়। এমন কাজের প্রতিবাদ জানিয়েই বাসিন্দারা ওই কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।
যদিও অভিযুক্ত ঠিকাদার তথাগত সেন জানিয়েছেন, সরকারি সিডিউল মেনেই কাজ করা হচ্ছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। বাসিন্দারা রাস্তা থেকে পিচের চাদর তুলে ফেলছে। আর যার কারণেই রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।