শীতল চক্রবর্তী গঙ্গারামপুর 14ই জুলাই দক্ষিণ দিনাজপুর:-বন্যার জল বাড়তেই পুনর্ভবা নদীর জল বেড়ে যাওয়ার ফলে ব্যাপক আকারে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে নদীর পাড় বলে অভিযোগ। দক্ষিণ দিনাজপুর গঙ্গারামপুর ব্লকের জাহাঙ্গীর পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খোজাপুর পুনর্ভবা নদীর পাড়ে র এমন ভাঙ্গনের ফলে পাশের বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আতঙ্কে গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গ্রামবাসীরা চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। মঙ্গলবার সকালে খোজাপুর এলাকার পুনর্ভবা নদীর ধারে বহুদিনের একটা বটগাছ ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সকলে চাইছেন সেচ দপ্তর যদি যুদ্ধকালীন ভাবে ভেঙে যাওয়া নদীর পাড় সংস্কার না করে, তাহলে বড়োসড়ো সমস্যার মধ্যে পড়বে তারা বলে দাবি তাদের। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অবশ্য বিষয়টি জানিয়েছে সমস্ত জায়গায়। তিনি চান এই কাজে দ্রুত হাত লাগান প্রশাসন। জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও প্রশাসনের তরফে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
গঙ্গারামপুর ব্লকের জাহাঙ্গীরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, এই গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রায় ২০–২৫ হাজার গ্রামবাসী রয়েছে, মূলত কৃষিভিত্তিক এলাকা বলে পরিচিত। এলাকায় মানুষজন কৃষি কাজের উপর নির্ভর করেই তাদের জীবনযাপন করে থাকেন। কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে পুনর্ভবা নদীর জল ব্যাপক পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে। এর ফলে ব্যাপক আকারে জাহাঙ্গীরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খোজ পুর এলাকার নদীর পাড় ভাঙতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার সকালে এলাকার গ্রামবাসীরা সেখানে গিয়ে দেখতে পান যে, নদীর পাড়ে বহু পুরনো একটি বটগাছ উপরে পড়েছে। নদী সংলগ্ন এলাকায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে সেখানে। এলাকার গ্রামবাসীদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে যে, খোজাপুর এলাকার পুনর্ভবা নদীর পাশে রয়েছে একটি বাঁধ যে বাঁধের ওপারে জাহাঙ্গীরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ২০–২৫ হাজার এলাকাবাসী বসবাস করে থাকে। বর্তমানে যেভাবে খোজাপুর এলাকায় পুনর্ভবা নদীর পাড় ভাঙ্গন শুরু হয়েছে তাতে সেই অংশ পাথরের বোল্ডার ফেলে খুব তাড়াতাড়ি সারাই করা না হলে, নদীর পাশে থাকা বাঁধ ভেঙে যেতে পারে নদীর জল বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বলে আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামবাসীরা বলে তাদের দাবি।
খোজাপুর এলাকার গ্রামবাসী দীনেশ সরকার, স্বর্ণ কমল সরকারের অভিযোগ করে বলেন, আমরা এমন নদীর পাড় ব্যাপক ভাঙ্গনের ফলে খুব আতঙ্কে রয়েছি। জল বেড়ে যদি এবার বাঁধটি ভেঙে যায় তাহলে আমাদের দুঃখের শেষ নেই। তাই দ্রুত এই নদীর ভাঙ্গন সারাই করার জন্য আবেদন করছি।
গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সঞ্জিত মন্ডল সেখানে ছুটে আসেন, পরে তিনি জানিয়েছেন, সমস্যা খুবই জটিল। খুব তাড়াতাড়ি পাথরের বোল্ডার ফেলে নদীর পাড় ঠিক না করলে ভয়ঙ্কর বিপদ হতে চলেছে আমাদের। বিষয়টি প্রধান কে জানানো হয়েছে।
জাহাঙ্গীরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পিন্টু সরকার জানিয়েছেন, এমন ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে ছুটে আসা হয়েছে পুরো বিষয়টি দেখতে। তিনি জানিয়েছেন, নদীর পাড় সংস্কার করার জন্য টেলিফোনে সবাইকে বিষয়টি জানিয়েছি। এমনকি সেচ মন্ত্রীর নজরে বিষয়টি আনা হয়েছে। জানানো হয়েছে সভাধিপতি থেকে প্রশাসনের আধিকারিকদের। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান না হলে ভয়ানক অবস্থার মধ্যে পড়বে গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা রায় জানিয়েছেন, বিষয়টি শুনেছি, দ্রুত যেন সমস্যার সমাধান করা যায় তার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এখন দেখার কত তাড়াতাড়ি এমন জ্বলন্ত নদী পাড় ভাঙ্গনের সমস্যা সমাধান করতে প্রশাসন এগিয়ে আসে কিনা সেটাই দেখার।