পিন্টু কুন্ডু , বালুরঘাট, ১৪ জুলাই:-সরকারী প্রতিটি জনমুখী কাছে ঠিকাদার সংস্থার গুলির কাছ থেকে কাটমানি তোলার অভিযোগ উঠলো জেলা পরিষদের মেন্টরের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বালুরঘাটে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে এক সাংবাদিক বৈঠক করে দুটি ভিডিও ক্লিপিং প্রকাশ্যে এনে এমনই দাবি করেছেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির প্রকাশিত ওই ভিডিওতে নির্মল বাংলা মিশন প্রকল্পের শৌচালয় তৈরিতেও শতাংশ হারে কাটমানি আদায়ের দাবি জানিয়েছেন শুভাশিষ ওরফে সোনা পাল বলে দাবি বিজেপির। শুধু তাই নয়, এর পিছনে তার উপর তলার সমস্ত লোকজন, বিডিও সহ সকলকেই আলাদাভাবে টাকা দিতে হয় বলেও উল্লেখ করেছেন সোনা পাল।
যদিও এদিন নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা তথা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের মেন্টর শুভাশিস পাল ওরফে সোনা। তিনি বলেন যে ভিডিও ক্লিপিং প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে কোথাও কাটমানির কথা উল্লেখ নেই। নোংরা রাজনীতি করছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ দিনাজপুরে বিভিন্ন এলাকাকে আলাদা আলাদা ভাবে নির্মল এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি শৌচালয় তৈরীর কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয় বিভিন্ন এনজিও গুলিকে। বিজেপির দাবি ভিডিও ক্লিপিংএ দেখা যাচ্ছে তৃণমূল নেতা সোনা পাল কোন এক ঠিকাদার সংস্থার কাছে বিভিন্ন সরকারি কাজের জন্য টাকার দাবি করছেন। যে টাকা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ থেকে নীচুস্তর সকলকেই দিতে হয় বলেও উল্লেখ করেছেন। স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ আমজাদ আলী মন্ডল ও গঙ্গারামপুরের তৃণমূল নেতা মৃদুল ঘোষকে পাশে বসিয়েই ঠিকাদার সংস্থার সাথে খোশমেজাজে সরকারী কাজের শতাংশ হারে দর কষাকষি করতে ওই ভিডিওতে দেখা গেছে মেন্টর শুভাশিষ পালকে। এদিন বিজেপির সাংবাদিক বৈঠকে যার পর্দা ফাঁস হতেই কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক শিবির। জেলা তৃণমূল সভাপতি অর্পিতা ঘোষের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ওই নেতাদের সরকারী কাজে এমন কাটমানি আদায়ের গোপন ভিডিও ভাইরাল হতেই প্রশ্নের মুখে পড়েছেন খোদ জেলা সভাপতিও। পুরো ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, জনমুখী বিভিন্ন কাজে তৃণমূল নেতারা যে অবৈধভাবে তোলা আদায় করে তার প্রমাণ মিলেছে দুটি ভিডিও ক্লিপে। প্রশাসনের আধিকারিকরাও একাজে যুক্ত থাকায় তিনি উর্ধতন প্রশাসনের কাছে এর নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি গৌতম দাস বলেন, বিষয়টি না দেখে তিনি কোন মন্তব্য করতে পারবেন না। তবে সত্যিই যদি কোনো অন্যায় হয়ে থাকে তাহলে দল উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
জেলা তৃণমূল সভাপতি অর্পিতা ঘোষ জানিয়েছেন, দলের নাম ভাঙ্গিয়ে যারা নিজেদের আখের গোছাচ্ছে তাদের কোন মতেই রেয়াত করা হবে না। কোন অন্যায় কে প্রশ্রয় দেয় না তৃণমূল কংগ্রেস।