উত্তর দিনাজপুর:–স্বজন হারানো বেদনায় কেঁদে উঠল গোটা বালিয়া গ্রাম। গ্রামের এমন কোনও মানুষ আজ ছিলেন না যার চোখে জল নেই, সকলের প্রিয় মানুষের এলাকার বিধায়ক দেবেন্দ্র নাথ রায়ের মরদেহ গ্রামে ঢুকতেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন পরিবারের সদস্য থেকে গ্রামের সকল মানুষ। শেষবারের জন্য একবার প্রিয় মানুষটিকে দেখার জন্য বালিয়া গ্রামের রায় বাড়িতে ভীড় উপচে পড়ল। তবে বাসিন্দাদের দাবি দেবেন বাবু আত্মহত্যা করেন নি, তাকে খুন করা হয়েছে। সুসাইডাল নোটে যাদের নাম উল্লেখ করেছেন তিনি তারাও তাঁকে খুন করতে পারেন।
বামফ্রন্ট আমল থেকে গ্রামপঞ্চায়েতের সদস্য থেকে বিন্দোল গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান, হেমতাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সবই হয়েছেন সিপিএম দলের হয়ে। বালিয়া গ্রামের এই সরল সাধাসিধে মানুষ দেবেন্দ্র নাথ রায় ২০১৬ সালে সিপিএম এর টিকিটে জয়ী হয়ে হেমতাবাদ বিধানসভার বিধায়ক হন। গ্রামের মাটির মানুষ দেবেন্দ্র বাবু ছিলেন সকলের প্রিয়। না ডাকতেই সকলের আপদে বিপদে অভিভাবকের মতো ঝাঁপিয়ে পড়তেন। বছর খানেক আগে সিপিএম দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। রাজনৈতিক দল ও মত বদল করলেও মানুষ দেবেন্দ্র নাথ রায় ছিলেন সব রাজনৈতিক দলের কর্মীদের কাছে প্রিয়। সেই মানুষটির যে এভাবে মৃত্যু ঘটবে কল্পনা করতে পারেন নি কেউই। তাঁর মৃত্যু গ্রামের প্রতিটি পরিবারের কোনও সদস্যের মৃত্যুর শামিল মনে করেন গ্রামের বাসিন্দারা। শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছে হেমতাবাদের গোটা বালিয়া গ্রাম ও গ্রামের আবাল বৃদ্ধ বনিতা। তবে কেউই মানতে পারছেন না দেবেন বাবু আত্মহত্যা করতে পারেন। গ্রামবাসীদের দাবি ব্যাবসায়িক কারনে টাকা পয়সা লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় নিয়েও তাঁকে খুন করা হতে পারে। উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হলেই আসল তথ্য বেড়িয়ে আসবে বলে ধারনা হেমতাবাদের বালিয়া গ্রামের বাসিন্দাদের।