উত্তর দিনাজপুর:––নববধূকে মারধর করে খুন করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামী, শ্বশুর ও শ্বাশুড়ির বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার থানার পতিরাজপুর গ্রামপঞ্চায়েতের শিবরামপুর এলাকার ঘুঘুডাঙা গ্রামে। মৃতা গৃহবধূর নাম মমতা দেবশর্মা ( ১৮) । পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক মৃতা গৃহবধূর স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইটাহার থানার ঘুঘুডাঙা গ্রামের বাসিন্দা বিজয় সিংহের ছেলে পেশায় ট্রাক্টর চালক বিকাশের সাথে মাত্র দুমাস আগে বিয়ে হয় রামডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা জিতেন দেবশর্মার মেয়ে মমতার। সামাজিক বিবাহ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রীতিমতো পণ দিয়েই মেয়ে মমতার বিয়ে দিয়েছিলেন জিতেন বাবু। অভিযোগ বিয়ের পরদিন থেকেই আরও টাকার দাবিতে মমতার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাতো স্বামী বিকাশ সহ শ্বশুর ও শ্বাশুড়ি। অতিরিক্ত পণের টাকা দেওয়ার জন্য মেয়েকে সাথে নিয়ে জামাই বিকাশকে রামডাঙ্গার বাড়িতে আসার জন্যও বলেছিলেন জিতেন বাবু। বৃহস্পতিবার রাতে মেয়ে মমতার শ্বশুরবাড়ি থেকে খবর আসে মমতা ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মৃতা গৃহবধূ মমতার দাদা শান্তনু বর্মন অভিযোগ করে বলেন বিকাশ ও তার বাবা মা মমতাকে ব্যাপক মারধর করে নিজেরাই ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিয়েছে। এমনকি গৃহবধূ মমতার মুখে বিষ ঢেলেও দিয়েছে তাঁর স্বামী ও শ্বশুর শ্বাশুড়ি। মৃতা নববধূ মমতার পরিবারের পক্ষ থেকে ইটাহার থানায় স্বামী বিকাশ সিংহ ও তার বাবামায়ের বিরুদ্ধে খুন করে মেরে ফেলার লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক। মৃতার পরিবারের দাবি অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে অভিযুক্ত স্বামী বিকাশ সিংহ আগেও একজনকে বিয়ে করেছিল সেও অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বছর খানেক আগে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।