উত্তর দিনাজপুর:-চার মাস আগে বিয়ে হওয়া এক গৃহবধুকে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠলো তার স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে করনদিঘী থানার পুটিমারী গ্রামে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। মৃত ওই গৃহবধুর নাম বিজনী সিংহ ( ১৯)। এই ঘটনায় স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। পরিবারসূত্রে জানা গিয়েছে, করনদিঘী থানার পুটিমারী গ্রামের বাসিন্দা প্রমথ সিংহের সাথে করনদিঘী থানার পারগাও গ্রামের বাসিন্দা সভারানী সিংহের মেয়ে বিজলী সিংহের সাথে চার মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়ের এক মাস পর থেকে স্বামী প্রমথ সিংহ বিজলী সিংহের উপর শারিরীক ও মানসিক অত্যাচার করতো বলে অভিযোগ। টাকা পয়সার জন্য প্রায়শই বিজলীকে মারধোর করতো স্বামী প্রমথ সিংহ বলে অভিযোগ। প্রমথ সিংহ ফোনের মধ্যেই মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকি দিত বলেও অভিযোগ করেন বিজলী মা ও দিদি।মারধোরের বিষয়টি বিজলী তার মা ও দিদিকে জানাতো। এদিন সকালে স্বামী প্রমথ সিংহ বিজলীকে মারধোর করার সময় দিদিকে ফোন করে মারধোরের কথা বলে ফোনটি কেঁটে দেয় প্রমথ সিংহ। পরে আবার ফোন করা হলে জানা যায় বিজলী মারা গিয়েছে। মেয়ের মৃত্যুর খবর শুনা মাত্রই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বিজলীর মা ও দিদি। বাড়িতে এসে দেখে মেয়ে ঝুলে আছে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন করনদিঘী থানার পুলিশ। বিজলী মা সভারানী সিংহের অভিযোগ, স্বামী প্রমথ সিংহ আমার মেয়েকে মেরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিয়েছে। যে আমার মেয়েকে মেরেছে তার উপযুক্ত শান্তি চাই বলে জানান মা সভারানীদেবি। বিজলীর মা সভারানী সিংহের অভিযোগে স্বামী প্রমথ সিংহকে আটক করে করনদিঘী থানার পুলিশ। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।