শীতল চক্রবর্তী ,হরিরামপুর ,২৬ শে জুলাই :-উচ্চ আদালতের বিচারকের পরিচয় দিয়ে বহু চাকরি দেবার নামে প্রতারণা করার অভিযোগে পুলিশ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে /ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে /ঘটনার বিষয়টি জানার পরেই ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আধিকারিক জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এ বিষয়টি জানান /তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট কে জানালে তারাই পরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন থানায় /পুলিশ ওই প্রতারক কে থানায় নিয়ে আসে /পুরো ঘটনায় শোরগোল পুলিশ এলাকাজুড়ে /স্বাস্থ্য দপ্তরে এবং ভূমিকায় সকলেই খুশি হয়েছেন / হরিরামপুর থানার পুলিশ জানায় , গ্রেফতার হওয়া ওই ব্যক্তির নাম চন্দন মোহন্ত তার বাড়ি বংশিহারি ব্লকের কুশকারী এলাকায়।তিনি রবিবার হরিরামপুর বিপিএইচ সি র বিএমওএইচ সৌভিক আলম কে ফোন করে নিজেকে মহামান্য হাইকোর্টের বিচারপতি বলে পরিচয় দিয়ে দুজনকে তার অফিসে চাকরিতে বহাল করার কথা বলেন । প্রথমে বিএম ও এইচ সৌভিক আলম এই ফোনের পর একটু ইতস্তত হয়ে পড়েন /পরে তিনি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দেকে পুরো বিষয়টি টেলিফোনে জানান /বিষয়টি জানান ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মনোতোষ মন্ডলকে ।
ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মনোতোষ মন্ডল ও হরিরামপুর থানার পুলিশকে বিষয়টি জানালে হরিরামপুর হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করে চন্দন মোহন্ত কে । উল্লেখ্য বিগত অনেকদিন ধরে বহু বেকার ছেলে মেয়েদের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে তাদের সাথে প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ ওঠে আসে / চন্দন মহন্ত বিভিন্ন সময় প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের কাছে নিজেকে হাইকোর্টের বিচারপতি হিসাবে পরিচয় দিতেন । এভাবে দীর্ঘদিন ধরে নিজের জালিয়াতি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল চন্দন মোহন্ত/ এদিন তিনি সেখানে দুজনের চাকরিপ্রার্থীকে যোগদান করার কথা বলেন বি এমওএইচ কে বলে অভিযোগ । এ প্রসঙ্গে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মনোতোষ মন্ডল জানান এই অভিযুক্ত বহুবার বিভিন্ন প্রশাসনিক ব্যক্তিদের ফোন করে ভুয়ো পরিচয় দিতেন / সেভাবেই তিনি এই কাজ করছিলেন । এছাড়া আমাদের কাছে খবর এসেছে এই লোক বিভিন্ন সময় চাকরি দেওয়ার নাম করে বহু মানুষদের থেকে টাকা নিতেন এবং তাদের প্রতারণা করতেন । প্রতারিত ব্যক্তিদের হাতে ভুয়ো নিয়োগপত্র তুলে দিতেন । সেই নিয়োগপত্র নিয়ে চাকরিপ্রার্থীরা যখন নিজেদের কর্মস্থলে যেতেন তখন তারা চরম হেনস্তার শিকার হতেন। এ ধরনের অভিযোগ বহু আগে থেকেই হয়ে আসছিল আজ সেভাবেই এই চন্দন মোহন্ত কে পুলিশ গ্রেফতার করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে পুলিশ আইন মোতাবেক যা যা পদক্ষেপ নেবার সেটাই গ্রহণ করবে ।
এ প্রসঙ্গে হরিরামপুর বি এম ও এইচ সৌভিক আলম জানান ,আমার কাছে ফোন আসে ফোনের অপর প্রান্তের ব্যক্তি টি নিজেকে হাইকোর্টের বিচারক বলে পরিচয় দেন এবং আমার সাথে দেখা করতে চান এবং আমি আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করি/ উনি আমাকে যেভাবে নির্দেশ দেন সেভাবে আমি কাজ করি / আমি তখন তাকে আসতে বলি তিনি আসেন এবং যথাসময়ে আমাদের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট আসেন/ প্রতারক চন্দন মোহন্ত কে আমার অফিস থেকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায় । হরিরামপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে তার কাছে বেশ কিছু যেখানে একটি সংগঠনের সঙ্গে সে যুক্ত রয়েছে বলে খবর /অভিযোগ পাওয়ার পরে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে / এমন ঘটনা হরিরামপুর ব্লক জোরে শোরগোল পড়েছে তবে স্বাস্থ্য দপ্তরের এবং ভূমিকায় খুশি হয়েছেন অনেকেই