শীতল চক্রবর্তী ,হরিরামপুর ,২৬ শে জুলাই:– –উচ্চ আদালতের বিচারকের পরিচয় দিয়ে চাকরি দেবার নামে প্রতারণা করার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিকে পুলিশ সোমবার গঙ্গারামপুর মহুকুমা আদালতে পাঠাই। রবিবার রাতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ব্যক্তিকে চাকরি দেবার নামে প্রতারণা করার অভিযোগে পুলিশ তাকে ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে গেফতার করে সোমবার হরিরামপুর থানার পুলিশ তিন দিনের নিজেদের র হেফাজত চেয়ে আদালতে পাঠায় । কিভাবে ওই প্রতারক ফুলেফেপে উঠেছিলো তা আমাদের ক্যামেরায় এই ফটো ধরা পরেছে।
হরিরামপুর থানার পুলিশ জানায় , গ্রেফতার হওয়া ওই ব্যক্তির নাম চন্দন মোহন্ত তার বাড়ি বংশিহারি ব্লকের কুশকারী এলাকায়।গত রবিবার হরিরামপুর বিপিএইচ সি র বিএমওএইচ সৌভিক আলম কে ফোন করে নিজেকে হাইকোর্টের বিচারপতি বলে পরিচয় দিয়ে দুজনকে তার অফিসে চাকরিতে বহাল করার কথা বলেন । প্রথমে বিএম ও এইচ সৌভিক আলম এই ফোনের পর একটু ইতস্তত হয়ে পড়েন /পরে তিনি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দেকে পুরো বিষয়টি টেলিফোনে জানান /বিষয়টি জানান ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মনোতোষ মন্ডলকে ।
ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মনোতোষ মন্ডল ও হরিরামপুর থানার পুলিশকে বিষয়টি জানালে হরিরামপুর হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করে চন্দন মোহন্ত কে । উল্লেখ্য বিগত অনেকদিন ধরে বহু বেকার ছেলে মেয়েদের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে তাদের সাথে প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ ওঠে আসে / চন্দন মহন্ত বিভিন্ন সময় প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের কাছে নিজেকে হাইকোর্টের বিচারপতি হিসাবে পরিচয় দিতেন । এভাবে দীর্ঘদিন ধরে নিজের জালিয়াতি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল চন্দন মোহন্ত/ এদিন তিনি সেখানে দুজনের চাকরিপ্রার্থীকে যোগদান করার কথা বলেন বি এমওএইচ কে বলে অভিযোগ । পরে পুলিশ এসে তাকে থানায় নিয়ে যায়.এদিন হরিরামপুর থানার পুলিশ জানায় , গ্রেফতার হওয়া ওই ব্যক্তির নাম চন্দন মোহন্ত তার বাড়ি বংশিহারি ব্লকের কুশকারী এলাকায় গিয়ে দেখা গেল অল্প সময়ে তিনি কিভাবে ফুলেফেঁপে উঠেছেন। আসুন তা একবার দেখে নিনা। হরিরামপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে তার কাছে বেশ কিছু যেখানে একটি সংগঠনের সঙ্গে সে যুক্ত রয়েছে বলে খবর /অভিযোগ পাওয়ার পরে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে / তিন দিনের নিজেদের হেফাজত চেয়ে আদালতে পাঠালে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।