দশঘন্টা পরেও খুললো না রোগীর ক্যাথিটার,বালুরঘাটে মৃত্যু প্রাক্তন তৃণমূল মহিলা নেত্রীর।

0
960

দশঘন্টা পরেও খুললো না রোগীর ক্যাথিটার, বালুরঘাটে মৃত্যু প্রাক্তন তৃণমূল মহিলা নেত্রীর। নার্স ও আয়ামাসীদের গাফিলতির  অভিযোগে সুপারকে ঘিরে বিক্ষোভ তৃণমূলের।

পিন্টু কুন্ডু , বালুরঘাট, ৫ সেপ্টেম্বর——- দশ ঘন্টা পরেও খুললো না রোগীর ক্যাথিড্রাল। মৃত্যু প্রাক্তন মহিলা তৃণমূল নেত্রীর। নার্স ও আয়া মাসীদের কর্তব্যে গাফিলতির  অভিযোগ। হাসপাতাল সুপারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ মৃতার পরিবার ও তৃণমূল নেতৃত্বদের। শনিবার সকালে এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় বালুরঘাট হাসপাতাল চত্বরে। ঘটনা জানিয়ে হাসপাতাল সুপারকে একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করে মৃতার পরিবারের লোকেরা। হাসপাতাল সুত্রের খবর মৃত মহিলার নাম নমিতা ঘোষ সরকার (৩৫)। বাড়ি বালুরঘাটের শান্তিকলোনী এলাকায়।

শহরের  ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তি কলোনির বাসিন্দা নেপাল ঘোষের স্ত্রী নমিতা ঘোষ সরকার। গত তিনদিন আগে তাকে শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী শুক্রবার দুপুরে ইউ.এস.জি করানো হয় ওই মহিলার। অভিযোগ সেই সময় পরিবারের লোকেদের আবেদনের পরেও নার্স এবং আয়া মাসিরা মহিলাকে কোন প্রকার সাহায্যই করেননি। দায়সারা ভাবে স্যালাইন খুলে দিয়ে ক্যাথিড্রাল লক করে দেন তারা। অভিযোগ, রাত্রি দশটা বাজলেও সেই লক খুলে দেন নি নার্স ও আয়া মাসীরা। পরে অসুস্থতা বেরে যাওয়ায় রাত্রি দেড়টা নাগাদ মৃত্যু হয় ওই মহিলার বলে দাবি তার পরিবারের। দশঘন্টা পরেও কেন রোগীর ক্যাথিড্রাল খোলা হলনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এদিন হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখান তার পরিবারের লোকেরা। নার্স ও আয়ামাসীদের গাফিলতির অভিযোগ তুলে সম্পূর্ণ ঘটনা জানিয়ে হাসপাতাল সুপারকে লিখিত অভিযোগ করেছেন মৃত মহিলার পরিবারের সদস্যরা। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে মৃতর পরিবারের লোকেদের পাশে দাড়িয়ে হাসপাতাল সুপারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বরাও।

প্রতিবেশী অলকা মহন্ত ও প্রকাশ দাসেরা জানিয়েছেন, কাগজ ও প্ল্যাস্টিক কুড়িয়ে সংসার চলে পরিবারটির। অসুস্থ নমিতাকে ভর্তির পর থেকেই চিকিৎসকরা রেফারের হুমকি দিয়েছে।নার্স এবং আয়া মাসিদের গাফিলতির কারণেই মৃত্যু হয়েছে মহিলার। ওয়ার্ডে তৃণমূলের মহিলা নেত্রী ছিলেন তিনি। এই ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তি চান তারা।

মৃতার স্বামী নেপাল ঘোষ বলেন, হাসপাতালের চরম অব্যবস্থার কারণেই তার সংসার ভেঙ্গে গেল। দোষীদের যাতে কঠোর শাস্তি হয় সেই দাবি জানিয়েছেন তিনি।
যদিও হাসপাতাল সুপার তপন বিশ্বাস জানিয়েছেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েই উর্দ্ধতন কতৃপক্ষ কে জানানো হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here