শীতল চক্রবর্তী,দক্ষিণ দিনাজপুর,৬সেপ্টেম্বর:—-– নিয়মের তোয়াক্কা না করে নিত্য প্রয়োজনীয় সব্জীর দাম বেশি নেওয়ার ঘটনা জানতে পেরে একাধিক বাজারে হানা দিল মহকুমা প্রশাসন। রবিবার সকালে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর এর কিষাণ মান্ডি, চিত্তরঞ্জন সবজি মার্কেট, কালিতলা সবজি মার্কেট সহ গঙ্গারামপুর সাব ডিভিশনের একাধিক সবজি বাজারে গিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির দাম যাচাই করেন মহকুমা শাসক মানবেন্দ্র রায়, এছাড়াও এসডিপিও দীপ কুমার দাস, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মনোতোষ মন্ডল, সহ আরো অনেকেই বাজারগুলিতে গিয়ে সবজির দাম যাচাই করেন।
করোনা অতিমারী জন্য সাধারণ মানুষের কর্মজীবন অনেকাংশেই খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চলছে । এমনও কিছু পরিবার রয়েছে যারা রাজ্য সরকারের অনুদান এর উপরে নির্ভর করে জীবন অতিবাহিত করে চলেছে। এরই মধ্যে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী যারা সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির দাম দিনের পর দিন বাড়িয়ে চলেছে। ফলে এক প্রকার দিন এনে দিন খাওয়া মানুষগুলো সবজি বাজারে গেলে হতাশ হয়ে পড়ছে। বাজারগুলোতে খুচরো আলুর দাম ২৫-২৬ টাকা কিলোর বদলে মাঝে মাঝে ৩০টাকা কিলো পযন্ত দরে বিক্রি করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। এমনই খবর মহকুমা শাসকের কাছে পৌঁছলে রবিবার সকালে গঙ্গারামপুরে পৌঁছে কিষাণ মান্ডি থেকে শুরু করে বড় ও ছোট প্রায় সবগুলি বাজারে গিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির দাম যাচাই করে মহকুমা শাসক মানবেন্দ্র রায়, এছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন এসডিপিও দীপ কুমার দাস, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মনোতোষ মন্ডল, এগ্রিকালচার মার্কেটিং এর এসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর সুব্রত দত্ত সহ আরো অনেকেই।
এ বিষয়ে গঙ্গারামপুর মহাকুমার শাসক মানবেন্দ্রনাথ রায় জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা প্রতিটি বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় সবজির দাম যাচাই করলাম,এবং তাদের অবগত করা হলো যেন তারা অতিরিক্ত দাম যেন না নেয়।আগামী দিনেও আমাদের এমন অভিযান চলবে। যে সমস্ত অসাধু ব্যবসায়ী সবজির দাম বেশি নেবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে গঙ্গারামপুর কিষাণ মান্ডি কমিটির সভাপতি নিশিত দাস জানিয়েছেন, প্রশাসনের আধিকারিকেরা এসেছিলেন। সবজির দাম যেন বেশি না হয় সে বিষয়ে বলে গেলেন। আমরাও চেষ্টা করব কেউ যেন সবজির দাম অতিরিক্ত মাত্রায় না নিতে পারেন।