আলিপুরদুয়ার দক্ষিণ জিৎপুর এলাকায় নদীতে নিখোঁজ এক ব্যক্তি
আলিপুরদুয়ার:–-রবিবার রাত ১ টা নাগাদ আলিপুরদুয়ার দক্ষিণ চাঁদপুর এলাকার নদীতে নিখোঁজ হয়ে এলাকার এক ব্যক্তি। জামাইকে ছবি ব্যক্তির নাম নন্দু বর্মন (৪৫)। নন্দু বর্মন পেশায় কাঠমিস্ত্রি। জানা গেছে রবিবার রাতে কাজকর্ম সেরে বাড়ি ফিরতে অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো পার করতে চেষ্টা করেন নন্দু বর্মন। হঠাৎই পা পিছলে ডিমা নদীতে পড়ে যান তিনি। জানাগেছে ডিমা নদীর ওই পারে বসবাস করে শতাধিক পরিবার। শহরের সঙ্গে একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম একটি বাঁশের সেতু। প্রতিবছর বর্ষার আগে ওই বাঁশের সেতু তৈরি করে জেলা প্রশাসন। কিন্তু এ বছর কোন অজানা কারণে সেই বাসের সেতুটি তৈরি করা হয়নি। ফলে শহরের সাথে যোগাযোগ করতে একটি অস্থায়ী বাসের সেতু তৈরি করে স্থানীয়রাই।
সেই বাঁশের সেতু পার করবার সময় পা পিছলে ডিমা নদীতে পড়ে যান নন্দু বর্মন। জানা গেছে সমগ্র ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ। খবর দেওয়া হয় আলিপুরদুয়ার জেলার সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের। সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিখোঁজ ব্যক্তির খোঁজে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি শুরু করেছে আলিপুরদুয়ার সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। এলাকার বাসিন্দা বিজয় দেবনাথ বলেন, দক্ষিণ জিতপুর টাপ্পু এলাকার শতাধিক মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম বাঁশের সাঁকো। কিন্তু ওই বাঁশের সাঁকো বহুদিন আগেই ভেঙে যায়। দীর্ঘ তিন মাস ধরে নদীর জল বাড়লেও বাঁশের সাঁকো তৈরি করার ব্যবস্থা করেনি প্রশাসন। ফলে বাধ্য হয়ে স্থানীয়রা নদী পারাপার করতে নদীর উপরে একটি বাস লাগিয়ে যাতায়াত শুরু করে। খুবই ঝুঁকি রয়েছে ওই ভাবে নদী পারাপার করতে। গতকাল নন্দু বর্মন ওই বাঁশের তৈরি অস্থায়ী সাঁকো পার করার সময় পা পিছলে নদীতে পড়ে যায়। এখনো তার কোন খোঁজ মেলেনি। প্রশাসন থেকে নদী পারাপারের স্থায়ী বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটতো না।