শীতল চক্রবর্তী গঙ্গারামপুর,১১ ই অক্টোবর, দক্ষিণ দিনাজপুর:-আগামী দিনের বিধানসভা ভোটে বিজেপি ও তৃণমূল এক সঙ্গে লড়াই করবে আর বিরোধী শক্তি গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্য সকলে মিলে তাদের সঙ্গে লড়াই করবে। নীতি নিয়ে বিকল্প সরকারও হবে। এ ছাড়াও একাধিক ইস্যুতে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন। রবিবার সকালে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে সিপিএমের এরিয়া কমিটির উদ্যোগে এক কর্মীসভায় রবীন্দ্র ভবনের যোগদান করতে এসে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা মোহাম্মদ সেলিম এমনই মন্তব্য করেন। সামনের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় সংগঠনকে মজবুত করতে এমন সভার আয়োজন বলে জানা গিয়েছে। সভাতে একাধিক সিপিএম নেতারা উপস্থিত ছিলেন। কর্মীসভাতে রবীন্দ্র ভবনের ভিতরে ভিড় হয়েছিল ভালোই।
রবিবার সকালে গঙ্গারামপুর হাইরোড সিপিএমের দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল করে রবীন্দ্রভবনে পৌঁছান। মিছিলে সিপিএম নেতা, নন্দলাল হাজরা, মানবেশ চৌধুরী, অচিন্ত চক্রবর্তী, বিধায়ক রফিকুল ইসলাম, পার্থ সরকার সহ আরো অনেকেই। সভার শুরুতেই সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাকে দলের তরফে বরণ করে নেওয়া হয়। এরপরে চলে নেতৃত্বদের বক্তব্য।
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা মোহাম্মদ সেলিম এদিন জানিয়েছেন,বিহারে যেমন বিজেপি ও নিতিশ কুমার এক হয়েছে। কিন্তু তাদের জোটে ভাঙন ধরেছে। বাকি বিরোধী দলগুলি সকলে মিলে এক হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে তাই হবে, বিজেপি ও তৃণমূল একহাট্টা হয়েছে। আর বিরোধী রাজনৈতিক দল গণতান্ত্রিক অধিকার, মানবাধিকার, উন্নয়নের জন্য বিধানসভা ভোটের লড়াই করবে। বাংলাকে রক্ষার জন্য, বাংলার ঐতিহ্যকে রক্ষার জন্য, বাংলার নারীদের সম্মান রক্ষা করার জন্য। বিকল্প নীতি নিয়ে বাংলায় বিকল্প সরকার তৈরি হবে।
নবান্ন অভিযানে তৃণমূল-বিজেপি ঠিকঠাক মিল না হয় এবার পাগড়ী ইসু করেছে তারা। ধর্ম নিয়ে কারা নড়াচড়া করে তারা সকলেই জানে।গঙ্গারামপুরের কংগ্রেসের বিধায়ক এখন তৃণমূলের জেলা সভাপতি।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, তৃণমূল দলটা একটা অপদার্থ দল, সব ভাড়াটে নিয়ে চলে। আগেও যা করে এসেছে এখন তাই করছে। তবে তিনি একথা বলেন যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাম কংগ্রেস জোট শুধু নয় বিজেপি ও তৃণমূল বিরোধী সকল দল একজোট হয়ে লড়াই করবে।
এদিনের সভায় গঙ্গারামপুর রবীন্দ্রভবনে ভিড় হয়েছিল ভালোই।