মালদা:- থানায় ট্রাক ছিনতাইয়ের অভিযোগ জানাতে এসে পুলিশের জালে ধরা পড়ল অভিযোগকারী। অভিযোগকারীর অভিযোগ শুনে পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় বেশ কিছুক্ষণ ধরে অভিযোগকারী চালক এবং খালাসিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।চালক এবং খালাসির বয়ান অনুযায়ী ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনার পুনঃনির্মাণ করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে আসল তথ্য। এরপরই চালক এবং খালাসি কে গ্রেপ্তার করে গাজোল থানার পুলিশ। রাতেই কালিয়াচক এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে খোয়া যাওয়া ব্যাটারি উদ্ধার করে পুলিশ। এখান থেকে গ্রেফতার করা হয় আরো দুই জনকে। গাজোলের ময়না এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় ট্রাকটি কেও। ধৃত চার জনকে এদিন আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই ঘটনার পিছনে কে বা কারা রয়েছে তা জানার জন্য ধৃতদের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে।
গতকাল একটি ট্রাকের ড্রাইভার এসে গাজোল থানায় অভিযোগ করেন তাদের মারধর করে ছিনতাই করা হয়েছে ট্রাক। তাঁরা ট্রাকে করে একটি নামি কোম্পানির ব্যাটারি নিয়ে হাওড়া থেকে গৌহাটি যাচ্ছিলেন। গাজোল এর কদুবাড়ি রেল ওভার ব্রিজের কাছে তাদের ট্রাকটিকে ছিনতাই করা হয়। জনবহুল এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা নিয়ে সন্দেহ জাগে পুলিশের মনে। পুলিশ আলাদা আলাদাভাবে চালক এবং খালাসি কে ঘটনাস্থলে নিয়ে গেলে তারা আলাদা আলাদা জায়গা দেখায়। এরপর দুজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে বেরিয়ে আসে আসল তথ্য। পুলিশি জেরার মুখে ভেঙে পড়ে তারা। স্বীকার করে সমস্ত ব্যাটারি কালিয়াচকে বিক্রি করে দিয়েছে তারা। ট্রাকটিকে ও একটি জায়গায় লুকিয়ে রাখা হয়েছে। রাতেই ওই দুইজনকে নিয়ে অভিযানে নামে পুলিশ। গাজোলের ময়না এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় ট্রাকটিকে। এরপর পুলিশ হানা দেয় কালিয়াচক থানা এলাকার মহেশপুরে। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় সমস্ত ব্যাটারি। ঘটনায় গাড়িচালক আলম শেখ, খালাসি মনিরুল শেখ,এবং কালিয়াচক থেকে রেজাউল শেখ ও মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন শেখ কে গ্রেপ্তার করেছে গাজোল থানার পুলিশ।
গাজোল থানার ওসি হারাধন দেব জানালেন তদন্ত চালিয়ে ট্রাক এবং ৭৬১ টি ব্যাটারি আমরা উদ্ধার করেছি। আমাদের সন্দেহ এই ঘটনার সাথে আরও অনেকে যুক্ত থাকতে পারে। তাই আদালতের কাছে ধৃত চারজনের ১০ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে আমরা।