রায়গঞ্জ:-প্রায় একবছর আগে বন্যায় ভেঙে গিয়েছে কুলিক নদীবাঁধ, আমন ধানের চাষ করতে পারেনি রায়গঞ্জ ব্লকের বিন্দোল গ্রামপঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকার কয়েক হাজার চাষী। প্রতিবাদে ভাঙা বাঁধের উপরেই জমায়েত করে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের৷ আগামী সোমবার বিন্দোল গ্রামপঞ্চায়েত অফিস ঘেরাওয়ের ডাক আন্দোলনের ডাক বঞ্চিত গ্রামবাসীদের। কুলিক নদীবাঁধের উপর গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ আন্দোলনে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
২০২০ সালের জুলাই আগস্ট মাসের বন্যায় ভেঙে গিয়েছিল রায়গঞ্জ ব্লকের বিন্দোল গ্রামপঞ্চায়েতের কুলিক নদীর উপর ঝাড়মুনি বাঁধের একাধিক অংশ। এলাকার কৃষিজমি বন্যার জলে ভেসে যাওয়ায় গত বছর আমন ধানের চাষ করতে পারেনি ১০/১২ হাজার কৃষক। নদীবাঁধ সংস্কারের জন্য রায়গঞ্জ ব্লক প্রশাসন, জেলা সেচ দপ্তরের কাছে বহুবার আবেদন করা হয়েছে। জেলা সেচ দপ্তর থেকে একবার শুধু দেখে যাওয়া ছাড়া আর কিছুই করেনি প্রশাসন। স্থানীয় কৃষক মহম্মদ পসির অভিযোগ করে বলেন, না গ্রামপঞ্চায়েত না রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতি না জেলা সেচ দপ্তর কেউই এই কুলিক নদীর উপর ঝাড়মুনি বাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ নিচ্ছেন। চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন বিন্দোল গ্রামপঞ্চায়েতের বালিয়া, বড়বার, অন্তরা, রতনপুর সহ বহু গ্রামের কৃষক পরিবার। গত বছর তাঁরা আমন ধান চাষ করা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তাই বাধ্য হয়ে সোমবার কুলিক নদীর ঝাড়মুনি বাঁধের উপরেই গ্রামের বাসিন্দারা জমায়েত করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। তাদের দাবি অবিলম্বে প্রশাসন ও সেচ দপ্তর ভাঙা বাঁধ সংস্কার করে নতুন করে এলাকায় কংক্রিটের বাঁধ নির্মান করুক। তাদের দাবি না মানা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবেন এতদঞ্চলের হাজার হাজার গ্রামবাসী।