গঙ্গারামপুর পৌরসভার 2 নম্বর ওয়ার্ডের কালিতলা গৌরাঙ্গ ঘাটে ধুমধাম সহকারে বট পাকুড় গাছের বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলো, বিয়ের অনুষ্ঠান ঘিরে ভিড় হয়েছিল ব্যাপক, প্রসাদ খাওয়ানো হলো প্রায় দেড় হাজার জনকে।

0
532

শীতল চক্রবর্তী গঙ্গারামপুর 6 মার্চ দক্ষিণ দিনাজপুর:-সকাল থেকেই চালুন ডালা তৈরি, কন্যা পক্ষের যেন দম ফেলার সময় নেই। মেয়ের বিয়ে বলে কথা। তাই সকাল থেকেই প্রতিবেশীদের যেমন ভিড়,তেমনি চলে এসেছে বাজনার জন্য ব্যান্ড পার্টিও।তৈরি হয়েছে বিয়ের মন্ডপ থেকে শুরু করে প্যান্ডেল এবং হাজার দূরেক বর পক্ষ থেকে শুরু করে নিমন্ত্রিতদের খায়ানো দায়ানো পালাও। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর পৌরসভার 2 নম্বর ওয়ার্ডের কালিতলা এলাকার গৌরাঙ্গ ঘাটে এমনই এক বিয়ের অনুষ্ঠান হয়ে গেল। যেখানে পাত্র-পাত্রী পক্ষের লোকজন থাকলেও পাত্র-পাত্রী ছিল কিন্তু বট পাকুড় গাছ। বহু পুরনো ধর্মীয় রীতি মেনেই বট পাকুড় এর এমন বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রায় দেড় হাজার জনকে পাত পেড়ে খাওয়ানো হলো। অনুষ্ঠানে পাত্র পাত্রী পক্ষ কেন এমন বিয়ের আয়োজন করলেন তা তারা জানালেন। উদ্যোক্তাদের তরফেও এমন অনুষ্ঠানে বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হল। সব মিলিয়ে গৌরাঙ্গ খাটের বট পাকুড় এর বিয়ে দেখতে এলাকার মানুষজন দিয়েছিল চোখে পড়ার মতো।

গঙ্গারামপুর পৌরসভার 2 নং 2 নম্বর ওয়ার্ডের কালিতলা গৌরাঙ্গ ঘাটে সেখানে একটি সুন্দর আশ্রম করা হয়ে।বহু দিন আগেই সেই পুনর্ভবা নদীর ঘাটের পার্শ্ববর্তী আশ্রম এর পাশেই গড়ে উঠেছে বটও দুটি পাকুড় গাছ। বহুদিন ধরেই গৌরাঙ্গঘাট আশ্রম কমিটির তরফ সেই দুটি বট পাকুড় গাছ কে দেখভাল করে বড় করে তোলা হয়। এরপরে এলাকার প্রতিবেশী দুজনকে বলা হয় দুই পরিবারের মধ্যে সম্বন্ধ তৈরি করতে। সেখানেই ওই এলাকারই বাসিন্দা দেশ বটগাছ কি তার ছেলে হিসাবে সম্বন্ধ করেন। এলাকারই আরেক মহিলা তিনি হন মেয়ের মা। শুক্রবার সকাল থেকেই যেমন হিন্দু ধর্মের নিয়ম রীতি অনুযায়ী, বিবাহ বন্ধন জন্য নদী থেকে জল তোলা, বাজনা বাজিয়ে হলুদ কোটা, ছায়া মন্ডপ সাজিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান করা হয়। রীতিমতো পুরোহিতের বর্জনের মাধ্যমে যদি অং হৃদয় মম তো দিও হৃদয়ং মম। পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারণ এর মধ্য দিয়েই চলে বিয়ের অনুষ্ঠান। হয় সিঁদুর দান। ঘোরানো হয় সাত পাক।
এ বিষয়ে বটও পাইকর গাছের ছেলে ও মেয়ে পক্ষের দুজন জানিয়েছেন ধর্মীয় রীতি কে সামনে রেখেই এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সম্বন্ধ তৈরি হলো ঠিক হই আমরাও এমন ধর্মীয় স্থানে এমন কাজে অংশগ্রহণ করতে পেরে খুশি।
উদ্যোক্তা ভক্ত সূত্রধর জানিয়েছেন, ধর্মীয় রীতি কে সামনে রেখে আমাদের আশ্রম এর পাশে এমন

অনুষ্ঠান করা হয়েছে। কোথায় দের ,দুহাজার জনকে খাওয়ানো হয়েছে।


এমন অনুষ্ঠান কে সামনে রেখে মানুষজনদের ভিড় হয়েছিল ব্যাপক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here