রায়গঞ্জ:-ভোট আসলেই বাড়ে তাদের ব্যাস্ততা, হয় বাড়তি রোজগার। তাই এখন বাংলাজুড়ে দেওয়াল লিখনের শিল্পী থেকে ফ্লেক্স ব্যানার নির্মানকারী সংস্থাগুলোর ব্যাস্ততা এখন চরমে। তৃনমূল কংগ্রেস বাদে বাকি রাজনৈতিক দলগুলির দফায় দফায় প্রার্থী তালিকা ঘোষনা করায় কিছুটা সমস্যায় এই শিল্পীরা। তবে নিজস্ব সৃজনশীলতায় অবলীলায় একের পর এক দেওয়ালে তুলির টান দিয়ে লিখে চলেছেন প্রার্থীদের নাম প্রতীক ও স্লোগানের ছন্দ।
ভোটের দামামা বাজতেই রায়গঞ্জ শহর সহ উত্তর দিনাজপুর জেলার সবকটি বিধানসভা কেন্দ্রেই নির্বাচনী প্রচারের জন্য দেওয়াল লিখন থেকে শুরু করে ফ্লেক্স, হোর্ডিং ব্যানার বানানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। আর প্রচারের এই প্রক্রিয়া শুরু হতেই ব্যাস্ততা শুরু হয়ে গিয়েছে দেওয়াল লিখন শিল্পী থেকে ফ্লেক্স ব্যানার নির্মাতাদের। উত্তর দিনাজপুর জেলায় আগামী ২২ এপ্রিল ভোট। বাম-কংগ্রেস জোট এবং বিজেপি এখনও তাদের পূর্নাঙ্গ তালিকা প্রকাশ না করলেও তৃনমূল কংগ্রেস রাজ্যের সবকটি আসনেই তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষনা করে দিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই রায়গঞ্জ শহর সহ উত্তর দিনাজপুর জেলার সবকটি বিধানসভা কেন্দ্রেই তৃনমূল কংগ্রেসের দেওয়াল লিখনে ব্যস্ত দেওয়াল লিখন শিল্পীরা। পাড়ায় পাড়ায় দেওয়ালে দেওয়ালে সৃজনশীলতার মাধ্যমে নিপুন হাতের তুলির টানে একের পর এক ঘাসফুলের প্রতীক ও প্রার্থীর নাম এবং স্লোগানের ছন্দ লিখে চলেছেন দেওয়াল লিখন শিল্পীরা। জানালেন সারা বছর সেভাবে কাজ থাকেনা তাদের ভোট আসলে কাজের পরিমান বাড়ে এবং দুটো বাড়তি রোজগার করেন তারা। তবে সবকটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর নাম ঘোষনা হলে কাজের চাপ আরও বাড়বে। দেওয়াল লিখন শিল্পীদের পাশাপাশি ব্যাস্ততা চরমে এখন ফ্লেক্স ব্যানার নির্মাতাদের কারখানাতেও। দিনরাত চলছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সুদৃশ্য সব ব্যানার ফ্লেক্স তৈরির কাজ। আর দেওয়াল লিখন শিল্পীদের সুনিপুন কাজ দেখে আপ্লুত হয়ে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন রায়গঞ্জের বাসিন্দারা।