পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ৩ এপ্রিল–––– তপনের করোনা নেগেটিভ তৃণমূল প্রার্থীকে পজিটিভ ঘোষণা করে সাংবাদিক বৈঠক তৃণমূলের। অবাক জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। ঘটনায় অবাক হয়েছেন খোদ তৃণমূল প্রার্থী ও তার পরিবারও। নেপথ্যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুজছেন দলীয় কর্মীদের একাংশ। ঘটনা নিয়ে ভোটের মুখে অস্বস্তিতে শাসক শিবির। সহানুভুতি তুলতে মমতার পা ভাঙার মতো কৌশল অবলম্বন বলে কটাক্ষ বিজেপির। শনিবার বালুরঘাটে সাংবাদিক বৈঠক করে অর্পিতা ঘোষের এমন দাবিকে ঘিরে শোরগোল পড়েযায় জেলায়। যদিও জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে কল্পনা কিস্কুর করনা আক্রান্তের বিষয়ে কোন পজিটিভ রিপোর্টই নেই।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় নির্বাচনের দিন ধার্য হয়েছে আগামী ২৬শে এপ্রিল। দিনযত এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে রাজনৈতিক দলগুলির তৎপরতা। রাজ্য জুড়ে বিজেপি তৃণমূলের ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেললেও কমে ছাড়ার পাত্র নয় রাজ্যের শাসক দলও। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় দিন রাত এক করে চলছে প্রচারাভিযান। এরই মাঝে তপন বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী কল্পনা কিস্কুর করোনা আক্রান্তের খবর এদিন ছড়িয়ে পড়তেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। পিকের নির্দেশ মতো ওই তৃণমূল প্রার্থীর করোনা পজিটিভের রিপোর্ট সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে যান খোদ রাজ্যসভার সাংসদ অর্পিতা ঘোষও।
উল্লেখ্য শুক্রবার তপনের প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে বালুরঘাটে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান বিপ্লব মিত্র ও রাজ্যসভার সাংসদ অর্পিতা ঘোষ সহ অন্যান্য নেতৃত্বদের উপস্থিতিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন।তার পরেই তপনের প্রার্থী করোনা আক্রান্ত বলে শনিবার সকালে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন অর্পিতা । যদিও স্বাস্থ্যদপ্তরের রিপোর্টে তার টেস্ট নেগেটিভ এসেছে। যে রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তিতে পড়ে যান শাসক দলের নেতারা। বিষয়টি নিয়ে অবাক জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।
সি এম ও এইচ সুকুমার দে বলেন, কল্পনা কিস্কুর রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। আর টি পি সি আর পাঠানো হয়েছে। সেটা সামনে আসলে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।
তপনের তৃণমূল প্রার্থী কল্পনা কিস্কু ও তার মা জানান, তারা জানেন না যে তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এব্যাপারে যা বলার তা তারা পরে জানাবেন।
বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, যার করোনা হয়েছে তিনি জানেন না, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও জানেন না। শুধু তৃণমূল নেতারা জানেন যে তার করোনা পজিটিভ। এটা একটা অবাক করা ঘটনা। সমস্ত অসুখের রিপোর্ট এখন তৃনমুল অফিস থেকেই দেওয়া হচ্ছে। লড়ায়ে না পেরে সহানুভূতি টানতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পা ভাঙার মতো কৌশল চালাবার চেষ্টা করছে।