শীতল চক্রবর্তী গঙ্গারামপুর ৭ এপিল দক্ষিণ দিনাজপুর :-দেড় বছরের এক শিশুর গলায় আটকে যাওয়া মোবাইলের চার্জারের বোর্ড অস্থপ্রচার করে বের করল ।ফের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর পুরসভার সামনে একটি বেসরকারি মাল্টি স্পেশালিটি সুপার হাসপাতাল চিকিৎসাকেরা কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় এমন অস্ত্রোপচার করে সাড়া ফেলে দেন।যা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মধ্যে গঙ্গারামপুরের পুরসভার সামনে সুভাষপল্লীতে অবস্থিত সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল সুস্পর্শ নার্সিংহােম কর্তৃপক্ষ বিরাট সাফল্যে অর্জন করে ফের সাড়া ফেলে দিয়েছে জেলাতে।এমন সাফল্যে পাবার পরে চিকিৎসক থেকে নাসিংহােম কর্তৃপক্ষ জানালাে, আবারও আমরা প্রমাণ করলাম এই নাসিংহােমের সমস্ত পরিকাঠামাে রয়েছে বলেই দ্বিতীয়বার এমন বিরল অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হয়েছে।আমরাই আবারও গর্বের সঙ্গে বলতে চাই কাউকে আর কোলকাতা সহ বাইরে গিয়ে চিকিৎসা করতে হবে না জেলার মানুষজনদের। সুস্পর্শ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আসলেই উন্নত মানের সব ধরনের পরিষেবা পেয়ে যাবেন আপনারা।এমন বিরল অস্ত্রপ্রচারে নার্সিংহােম কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ওই শিশু সহ তার পরিবারের লোকজনের পাশাপাশি পরিবার সহ শহরবাসি।
কুশমন্ডি থানার আমিনপুর লাগার আদিবাসী ঘরের বাসিন্দা পেশায় দিনমুজুর দুস্থ্য পরিবারের শেখ লাল মার্ডি ছেলে ।পরিবারে রয়েছে বড় ছেলে ও তাঁর স্ত্রী। পরিবারে রয়েছে সামান্য জমি ও দিন মুজুরি করে কোন মতে সংসার পরিচালনা করে থাকেন আদিবাসী ঘরে এই ছেলেটি।
আদিবাসী এই পরিবার সূত্রে খবর, বুধবার সকালে তাঁদের পরিবারের ছােট ছেলে বয়স ২ বছর ।বাড়িতেই সে সকালে খেলা করছিল। সেই সময় হঠাৎ করে সে বিছানার উপরে পরে থাকা মোবাইলের অংশ মুখের মধ্যে নিয়ে নেয়।যা ওই শিশুর গলার ভিতরে মধ্যে চলে যায়।সেই সময় ওই তার শ্বাস নিতেই তার গলার ভিতরে ধীরে ধীরে তা প্রবেশ করতে থাকে।শুরু হয় ওই শিশুর শ্বাসকষ্টও। শারিরীক অবস্থা খারাপ হতে থাকায় পরিবারের লােকজন তাঁকে প্রথমে আমিনপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরে গঙ্গারামপুর মহুকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে।কিন্তু ওই শিশুর গলা থেকে তা বের করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়ে দেয় গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।সেখান থেকে মালদা বা কোলকাতাতে যেতে বলা হয়।
গরীব ও আদিবাসী পরিবারের লােকজনদের কথায়, এর পরেই তিনি গঙ্গারামপুরের সুভাষপল্লীতে অবস্থিত মাল্টি স্পেশ্যালিটি সুপার হাসপাতাল সুস্পর্শ নার্সিংহােম কর্তৃপক্ষ নিরেশ পাল,শােভন দাস,সুপ্রতিম চৌধুরী,সুস্পর্শ নাসিংহােমের ম্যানেজার মৈনাক বর্মনের সঙ্গে যােগাযােগ করেন।এর পরেই সেখানে সব ধরনের পরিকাঠামে থাকায় নাক,কান,গলা বিশেষণজ্ঞ চিকিৎসক আবীর চৌধুরী ওই শিশুর গলার মধ্যে আটকে থাকা বিরল অস্ত্রপ্রচার করে দুই ঘন্টার চেষ্টায় সেই মোবাইলের বড় অংশ ওই কিশােরের গলার মধ্যে থেকে বের করা হয়।যা এমন বিরল অস্ত্রপ্রচার গঙ্গারামপুর শহরে দ্বিতীয়। যা সুস্পর্শ মাল্টি স্পেশ্যালিটি সুপার হাসপাতালে হায়েছে।
সুস্পশ মাল্টিস্পেশালিটি সুপার হাসপাতালে চিকিৎসক আবির চৌধুরী জানিয়েছেন, অপরেশন করা খুবই কঠিন ছিল। এখানে পরিকাঠামো ও অজ্ঞানের চিকিৎসকের সহযোগিতা করা সম্ভব হয়েছে।
সুস্পর্শ মাল্টিস্পেশালিটি সুপার হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার সমিত ঘােষ জানিয়েছেন,আমাদের এখানে ভালাে পরিকাঠামাে থাকার জন্যেই এটা সম্ভব হয়েছে।যা আগামী দিনেই করাে যাব।
সুস্পর্শ নাসিংহােমের ম্যানেজার মৈনাক বর্মন জানিয়েছেন ,আপনাদের প্রয়ােজনে সুস্পর্শ নার্সিংহােমে আসুন আমরা সমস্ত ধরনের পরিষেবা দেব।বাইরে যাবার আর দরকার নেই আপনাদের।
সুস্পর্শ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এমন পরিষেবা পাবার পরে ওই শিশুর বাবা জানিয়েছেন ,এই নার্সিংহােমের জন্যেই ছেলের জীবন ফিরে পেল। ধন্যবাদ জানাই সুস্পর্শ স্পেশালিটি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে।
এমন বিরল অস্ত্রপ্রচারে নার্সিংহােম কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ওই কিশােরের পরিবার সহ শহরবাসিও।