শীতল চক্রবর্তী বুনিয়াদপুর 13 এপ্রিল দক্ষিণ দিনাজপুর:- বেহাল রাস্তা বাম ডান কোন আমলেই না হওয়ায় এবার ভোটের আগেই ভোট বয়কট করে পথ অবরোধে নামলো ক্ষুব্দ গ্রামবাসীরা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশিহারি ব্লকের নুরপুর এলাকায়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ ভোটের সময় বিপ্লব, সোনা,ঢলুরা আশ্বাস দিয়ে বলে এবারে ভোট দাও রাস্তা তৈরি করে দেব। কিন্তু ভোট ফুরোলেই নেতাদের আর দেখা পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ তাদের। তাই এবার আশ্বাস নয় ,ভোটের আগে রাস্তার স্থায়ী সমস্যা সমাধান করা না হলে এবারে ভোট বয়কট হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে গ্রামবাসীরা। বিরোধী রাজনৈতিক দলের তরফে বিষয়টি হস্তক্ষেপ করার আবেদন করেন প্রশাসনের কাছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূল নেতা অবশ্য রাস্তা বড় হবার কারনে পঞ্চায়েত থেকে তা করা সম্ভব হয়নি বলে নিজের দোষ ঢাকার চেষ্টা করেন। প্রশাসনের তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা জানানো হয়েছে।
বংশীহারী ব্লক এর এলাহাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের নুরপুর থেকে মহিপুর পর্যন্ত এই 5 কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এই রাস্তাদিয়ে আশপাশের কৈমারী বড়জোড়া কামারডাঙ্গা মেহেন্দিপুর অযোধ্যার মত পাঁচটি গ্রামের প্রায় ১২০০০ উপর বাসিন্দারা প্রতিনিয়ত কষ্ট করে চলাফেরা করে বলে অভিযোগ তাদের। এলাকার আশপাশে প্রয়োজনীয় জায়গায় যেতে গেলে বেহাল রাস্তার কারণে সমস্যার শেষ নেই বলে অভিযোগ তাদের। বেহাল রাস্তার কারনে এই পাঁচটি গ্রামে কেউ বিয়ে করতে আসতে চাই চায় না বলে অভিযোগ তাদের। ভোটের সময় সকলেই ভোট দিলেই পাকা রাস্তা করে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয় তাদের তরফে। ভোট মিটে গেলেই আর কারো দেখা পাওয়া যায় না বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
ভোট বয়কট কারি ক্ষুব্দ গ্রামবাসী জাহির উদ্দিন আরমান, এলাকার ছাত্র মৃত্যন দাস, ক্ষুব্দ মহিলা গ্রামবাসী সাবিত্রী সরকার সহ আরও এক বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, বিগত ভোটের আগে বিপ্লব, সোনা, ঢলুর আশ্বাসের পরেও আমাদের বেহাল রাস্তা সংস্কার হয়নি। তাই এবারের ভোটে আগে রাস্তা চাই না হলে পাঁচটি গ্রামের 12০০০ ভোটার ভোট দেবো না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
কংগ্রেস নেতা বিপ্লব কুমার মন্ডল, সিপিএমের নেতা মোসাদ্দেক হোসেন, বিজেপির টাউন মন্ডলের নেতা সুপ্রিয় দত্ত জানিয়েছেন, প্রশাসনের উচিত এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করে সকলকে ভোট মুখী করা।
এলাহাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান পার্থপ্রতিম দাস জানিয়েছেন, পঞ্চায়েতে এত বড় মাপের রাস্তা তৈরি করা সম্ভব নয় বলেই তিনি নিজের দায় ছেড়েছেন।
বংশের ব্লকের বিডিও সুদেষ্ণা পাল জানিয়েছেন, বিষয়টি আপনাদের কাছে জানতে পারলাম খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।
শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের তরফে গ্রামবাসীদের এই সমস্যার সমাধান করে কিভাবে তাদের ভোটের বাক্স দিকে নিয়ে যায় সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে সকলেই।