পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ২১ এপ্রিল ——— “সিপিএম আমলে বালুরঘাট – গঙ্গারামপুরে বন্যা হত, ডুবে থাকতো” ওটা ম্যান মেড প্ল্যান অর্থাৎ পরিকল্পিত বন্যা। এখন তৃণমূল আমলে আর বন্যা হয় না বালুরঘাট, গঙ্গারামপুরে। বুধবার বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী শেখর দাসগুপ্তের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে এসে এমনটাই জানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেত্রীর এমন বক্তব্য শুনে সভায় হাজির হওয়া অনেকেই ২০১৭ এর ভয়াবহ বন্যার কথা স্মরন করে হাসলেন মুখ লুকিয়ে। এদিন হেলিকপ্টারে করে পৌনে বারোটা নাগাদ বালুরঘাট টাউনক্লাব মাঠে এসে পৌছান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হুইল চেয়ারে করে মঞ্চে উঠে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রথমেই সাহিত্যরত্ন ও কবিরত্ন শঙ্খ ঘোষের মৃত্যু নিয়ে শোকজ্ঞাপন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই বিগত দশ বছরে বালুরঘাটে উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে তিনি বলেন এখন আর বালুরঘাট, গঙ্গারামপুরে বন্যা হয়না। শহরেও জল জমে না। তাদের সরকারের উন্নয়নের দ্বারাই এমনটা সম্ভব হয়েছে। এটাই বেঙ্গল ইঞ্জিন, ডবল ইঞ্জিনের প্রয়োজন নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। তার এমন কথা শুনে এদিন অনেকেই মুখ চেপে হেসেছেন। কেননা ২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যার আতঙ্ক আজও বালুঘাট তথা দক্ষিন দিনাজপুর বাসীকে তাড়া করে। ঘরবাড়ি হারানো বাসিন্দারা আজো অনেকেই গড়ে তুলতে পারেনি নতুন ঘর। জলে ডুবে অনেককে আবার না খেয়েও থাকতে হয়েছিল সেই দুর্দিনে। মানুষের সেই দুর্বিষহ অবস্থায় প্রশাসনের পাশাপাশি ঝাপিয়ে পড়েছিল বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও সাধারণ মানুষ। যে ভয়াবহ বন্যার আতঙ্ক আজো কাটে নি মানুষের মন থেকে। তারই মাঝে এদিনের সভা মঞ্চে বসে তৃণমূল সুপ্রিমোর এমন বক্তব্য অনেককেই হাসিয়ে তুলেছে। যদিও বিষয়টি নির্বাচনে হারবার চাপ বলেই ব্যাখ্যা করেছে বিজেপি।
বালুরঘাটে বিজেপির সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, দলের ভরাডুবি আচ করে দিদির মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। কখন কোথায় গিয়ে কি বলছে তিনি নিজেও সেটা জানেন না। আর সে কারনেই ওই কথা বলতে পেরেছেন। ভয়াবহ ওই বন্যার আতঙ্ক আজো বালুরঘাট তথা জেলার মানুষকে তাড়া করে।
যে বন্যার ত্রিপল চুরি করতে গিয়েই মার খেয়েছিলেন বালুরঘাটের এক তৃণমূল নেতা। শুধু তাই নয়, সেসময় ততকালীন সাংসদও নিখোঁজ ছিল বলে একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল। আর যার ক্ষোভেই বালুরঘাট লোকসভার মানুষ তাকে বিপুল ভোটে আশীর্বাদ করেছে।