শীতল চক্রবর্তী কুশমন্ডি ২৫এপ্রিল দক্ষিণ দিনাজপুরঃ-সপ্তম দফার বিধানসভা ভোটের কয়েকঘন্টা আগে এক কিশোরকে চরম অত্যাচারের পাশাপাশি খুন করে দেহ ফেলে রেখে যাবার ঘটনায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে।ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি থানার কালিকামোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পুনেট এলাকায়। এমন মৃত্যুর ঘটনায় মৃতের আত্নীয় স্বজনেরা অভিযোগ করে বলেন,এটা খুনের ঘটনা।ওর চোখে সুচ দিয়ে আঘাত করা সহ শরীরের বহু জায়গায় আঘাত করে খুন করে তাঁর দেহ ফেলে রেখে চলে গেছে অভিযুক্তরা।বাড়ি থেকে ফোন করে তাঁকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে বলে অভিযোগ মৃতের আত্মীয় ও এলাকাবাসীদের।। মোবাইল দেখলেই কে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তা পুলিশ উদ্ধার করতে পারবে তাঁদের দাবি।প্রেম ঘটিত কারণ নাকি এর সঙ্গে অন্য কোন রহস্য লুকিয়ে রয়েছে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়ে পুরো ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ জানাই খুন হওয়া ওই কিশোরের নাম বিপ্লব দাস( ১৬ বছর) বাড়ি কুশমন্ডি থানার কালিকামোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পুনেট এলাকায়।সে বংশীহারী থানার শিহল এলাকার মা ইটভাটাতে শ্রমিকের কাজ করত বলে তাঁর পরিবার সুত্রে খবর।মৃতের পরিবার সুত্রেই যানা গিয়েছে যে, শনিবার রাতে বিপ্লব এর মোবাইলের তাঁর এক বন্ধুর ফোন আসে তখন সে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়।
মৃতের পরিবার সুত্রে যানা গিয়েছে যে,এর আগেও বহুবার সে ইটভাটাতে কাজ করার সুবাধে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেত বিপ্লব।
মাঝে সাঝে সে বাড়িতেও ফিরে আসত না।শনিবার সকালে মৃত বিপ্লব এর বাড়ি থেকে কিছুটা দুরে একটি মৃতদেহ পরে থাকতে দেখে এলাকাবাসীরা কুশমন্ডি থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।এলাকাবাসীরা পরে বিপ্লবের মৃতদেহ চিনতে পেরে তাঁর পরিবারের লোকজনদের খবর দেয়। পরিবারের লোকজন এসে বিপ্লবের দেহ সনাক্ত করে কান্নায় ভেঙ্গে পরে। ঘটনাস্থলের এলাকাবাসী রঞ্জিত রায়,রামনাথ রায়, মিহির দাস,মিলন রায়েরা অভিযোগ করে বলেন,মৃতদেহ চোখ থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।এটা খুনের ঘটনা। পুলিশ তদন্ত করলেই সব পরিস্কার হয়ে যাবে৷
মৃতের বোন সাথী দাস,ও তাঁর মা অভিযোগ করেন বলেন,পরিচিত কেউ ডেকে নিয়ে খুন করেছে।দোষিদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান,খুন করার আগে ওই যুবককে শারীরিকভাবে অত্যাচার করা হয়েছে।তাঁর পরেই তাঁকে খুন করে দেহ ফেলে রেখে গেছে দুষ্কৃতীকারিরা।
যদিও জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, কিভাবে এমন ঘটনা ঘটেছে সেবিষয়ে তদন্ত করে দেখে ময়না তদন্তের রিপোট হাতে পেলেই
সব পরিস্কার হয়ে যাবে।
সপ্তম দফার বিধানসভা নিবার্চনের কয়েকঘন্টা আগে এমন খুনের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পরেছে।