আতঙ্কের মধ্যেই কোভিড ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ বন্ধ করা হল দক্ষিণ দিনাজপুরে, মাস্ক পড়াতে কঠোর হচ্ছে প্রশাসন।জরুরী ভিত্তিতে জেলায় গড়া হচ্ছে অক্সিজেন প্ল্যান্ট

0
612

পিন্টু কুন্ডু , বালুরঘাট, ২৮ এপ্রিল–––   মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক সহ হাজারও প্রচেষ্টার পরেও বেলাগাম করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। প্রায় প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা । এমত অবস্থায় বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠক করে কোভিড ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ করলো দক্ষিণ দিনাজপুর  জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করতে কঠোরভাবে রাস্তায় নামার ইঙ্গিত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের। জরুরী ভিত্তিতে জেলায় অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরির নির্দেশ রাজ্যের।
 দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতর সুত্রের খবর, ইতিমধ্যে জেলায় প্রায় ১.৫ লক্ষ কোভিড ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে । দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়ে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ লক্ষের কাছাকাছি । তবে হঠাৎ করে কেন ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ বন্ধ করা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে । তবে দ্বীতিয় ডোজ দেওয়া যথারীতি চলবে ।  এদিকে জেলায় সংক্রমণ রুখতে বৃহস্পতিবার থেকে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে পুরো জেলাতে । বাড়ির বাইরে বের হলেই সকলকেই ব্যবহার করতে হবে মাস্ক । তা না হলে প্রশাসনের তরফে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানা গেছে । জেলা শাসক সহ ৭টি টিম জেলার বিভিন্ন প্রান্তে জনবহুল এলাকায় ঘুরে ঘুরে মাস্ক বিলি করার পাশাপাশি সকলকে সচেতনও করবেন  তারা। তবে শুক্রবার থেকে মাস্ক না পড়ে বাড়ির বাইরে বের হলেই প্রশাসনের তরফে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে, এমন নির্দেশেরও ইঙ্গিত মিলেছে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কের কথায় । 


অন্যদিকে  জেলায় এখনও পর্যন্ত অক্সিজেনের কোন আকাল নেই। তবে কোভীড সক্রমনের কথা মাথায় রেখে বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল  এবং গঙ্গারামপুর মহুকুমা  হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে অক্সিজেন প্ল্যান্ট গড়তে ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের তরফে এক জরুরী নির্দেশিকাও এসে পৌছেছে জেলাত । এদিন সরকারি নির্দেশিকা জেলায় আসতেই এক সাংবাদিক বৈঠক করে এই কথা জানিয়েছেন, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে । 

উল্লেখ্য, বর্তমানে জেলায় ৬৬২ জন করোনা পজেটিভ রোগী রয়েছেন ।  ৬০৫ জনকে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে । গত এক বছরে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯১৭৬ জন । গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৯০ জন । যার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের । যেখানে এক বছরে জেলায় করোনা রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা ৭৮ জন । করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আইসিইউতে বেডের সংখ্যা ৬ থেকে বাড়িয়ে  ৯টি করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here