শীতল চক্রবর্তী বুনিয়াদপুর 8 জুন দক্ষিণ দিনাজপুর :-প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের চাল, ডাল সহ বিভিন্ন ধরনের জিনিস বিলি করতে এসে চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীর গোপনাঙ্গে হাত দেওয়া সহ শ্লীলতাহানির করার অভিযোগ উঠেছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ওই অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকে দুহাত বেঁধে জুতোর মালা পড়িয়ে ব্যাপক গনধোলাই দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন অভিভাবকেরা।
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী থানার এলাহাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট করই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।এলাকার অভিভাবকদের অভিযোগ, ছোট করই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের খাবারের জিনিস নিতে এসেছিল চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীরা।অভিযোগ সেই সময় ওই ছাত্রীর সঙ্গে কু উদ্দেশ্যে শরীরের বিভিন্ন অংশে খারাপ আচরণ করেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বিশ্বাস বলেও অভিযোগ তাদের।বহু দিন ধরেই ছাত্রীর সঙ্গে এমন আচরণ করেন ওই শিক্ষক বলেও অভিযোগ করেন এলাকাবাসীরা। একের পর এক ঘটনা ওই প্রধান শিক্ষক ছাত্রীর সঙ্গে ঘটালে অভিভাবকদের তারা বাড়িতে গিয়ে জানালে ঘটনায় কড়া শাস্তির দাবিতে অভিভাবকরা এসে শিক্ষককে গাছে বেঁধে জুতোর মালা পড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এমন বিষয় নিয়ে নিন্দা প্রকাশ করেছে স্কুলের আরেক শিক্ষকও। স্কুলের এসএই জানিয়েছেন, বিষয়টি প্রমাণ হলে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনার খবর পেয়ে বংশীহারী থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। থানার আইসি তরফে জানানো হয়েছে,ওই ছাত্রীর পরিবারের তরফে শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের কপি দেখে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমন ঘটনায় শোরগোল পড়েছে বুনিয়াদপুর শহর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে।
বংশীহারী থানার এলাহাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট করই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল লক ডাউনের আগে ওই প্রাথমিক বিদ্যালয় 150 এর উপরে ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করত। শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছে তিনজন। এলাকার আশপাশে অভিভাবকেরা জানিয়েছেন, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রয়েছে সঞ্জয় বিশ্বাস। তিনি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন ভারপ্রাপ্ত হয়ে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এর আগে ওই প্রধান শিক্ষক চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে স্কুলের মিড ডে মিলের চাল-ডালসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিস দেওয়ার সময় গোপন অঙ্গে সহ বিভিন্ন জায়গায় হাত দিয়েছিল। সেই সময় ঘটনার প্রতিবাদ করলে ভুল হয়েছিল বলে ক্ষমা চাইলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার স্কুলের তরফে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বিশ্বাস স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীর সেই সমস্ত জিনিসপত্র বিলি করার জন্য বাড়ি গিয়ে তাদেরকে ডেকে এসেছিল বিদ্যালয়ে।
বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর অভিভাবক, সহ এলাকার আরেক গ্রামবাসী প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, মিড ডে মিলে খাবার দেবার সময় আমার মেয়েকে গোপন অঙ্গ বিভিন্ন জায়গায় হাত দিয়েছিল। তাকে শ্রীলতাহানি করেছে ওই প্রধান শিক্ষক। দোষী শিক্ষকের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে তার গলায় জুতোর মালা পরিয়ে উত্তম মাধ্যম দিয়ে পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে। থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি ফাঁসির সাজা জানাই।
ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের এক সহযোগী জানিয়েছেন, স্কুলে এসে বিষয়টি জানতে পারলাম। এমন ঘটনা কখনোই মেনে নেওয়া যাবে না। নিন্দা জানায় ঘটনার।
স্কুলের এসআই মকসেদ আলম জানিয়েছেন, ঘটনা যদি সত্যি হয় তাহলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনা খবর পেতে বংশীহারী থানার পুলিশ বাহিনী গিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
বংশীহারী থানার আইসি মনোজিৎ সরকার জানিয়েছেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হবে।
যদিও অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বিশ্বাস তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এমন ঘটনায় বংশীহারী সহ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কোন শিক্ষকের কাছে ছাত্রীর এমন ধরনের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়েছেন বহু অভিভাবকরাই।