শীতল চক্রবর্তী গঙ্গারামপুর ৪আগষ্ট দক্ষিণ দিনাজপুর:-প্রশাসনের কাছে অনুমোদনের পরেও কাজ শুরুর কয়েক মাসের মধ্যেই সাংসদ কোটার টাকায় সেই কাজের বরাদ্ধ বন্ধ কর প্রশাসন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের পাশে, জাহাঙ্গিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শিববাড়ী কেশবপুর বিরুপক্ষ বানেশ্বর শিব মন্দির ধাম এলাকার ঘটনা ।কাজ বন্ধ হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সেই কাজ চালুর দাবি করেছেন এলাকাবাসী থেকে করে মন্দিরের দায়িত্বে থাকা সেইতেরও।সংসদ অবশ্য জানিয়েছেন, প্রশাসন দ্রুত কাজ চালু না করলে মানুষজনদের কথা মধায় রেখে আদালতে যাব। বিডিও অবশ্য জানিয়েছেন, বিষষয়টি নিয়ে তিনি জেলা প্রশাসনের কথা বলবেন। উন্নয়নের কাজ চালু করে তা আবার ফের বন্ধ করার ঘটনায় প্রশাসনের এমন মনভাবে রীতিমত শোরগোল পরেছে জেলাজুড়ে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, গঙ্গারামপুর শহর লাগায়া জাহাঙ্গিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শিববাড়ী কেশবপুর এলাকার বিরুপাক্ষ বানেশ্বর শিবমন্দির ধামের পাশে বিধাননসভা নির্বাচন ঘোষনার আগেই একটি কমিউনিটি হল জন্য অতিরক্ত জেলা শাসক(উন্নয়ন)3 লক্ষ টাকা বরাদ্ধ করে গঙ্গারামপুর ব্লকের বিডিওকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন ।সেই চিঠি পাবার পরেই গঙ্গারামপুর ব্লক প্রশাসনের তরফে কাজের টেন্ডার করা হয়। কাজের টেন্ডার পান গৌতম ধর নামে গঙ্গারামপুরের এক ঠিকাদার। বরাদ্দ পাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই তিনি শুরু করে বলে যানা গিয়েছে।
বিরুপক্ষ বানেশ্বর শিবমন্দির ধাম সূত্রে জানা গিয়েছে ,এই ধামের শিবমন্দিরে বহু তিথিতে ভক্তরা সেখানে পুজো দিতে আসেন বহু দিন ধরেই। বিশেষ করে শ্রাবন মাসের প্রতি সোমবার করে শিববাড়ী কেশবপুর এলাকার বিরুপক্ষ বানেশ্বর শিবমন্দিরে বহু ভক্ত শিবের মাথায় জল ঢালতে আসেন৷এই শিবমন্দিরের সঙ্গে বানরাজার ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে বলে ইতিহাসবিদেরা মনে করেন।আগেও সেখানে রাজ্যে সরকারের মাধ্যমেও কিছু উন্নয়ন মুলক কাজ করা হয়েছে বলে খবর।কিন্তু পূণার্থীদের জন্য বিশ্রামগার করার জন্য বা সেখানে আসার পরে ঝড় বৃষ্টি হলে পূণার্থীদের মাথা গোজার জন্য কোন কিছুই নেই সেখানে বলে যানা গিয়েছে।সেই সমস্যার বিষয়টি মাথায় রেখেই বিরুপক্ষ বানেশ্বর শিবমন্দির থামের তরফে ওই এলাকায় একটি কমিডিটি হল তৈরি করার জন্য আবেদন জানানো হয় সাংসদের কাছে।তিনি তার কোটার টাকায় সেই কাজ করার জন্য চিঠি দেন জেলা প্রশাসনে। সাংসদ কোটার তিন লক্ষ টাকা বরাদ্ধে সেই কাজ শুরু হয়ে যায় বহু দিন আগেই।
প্রকল্পের কাজের দায়িত্ব পাওয়া ঠিকাদার গৌতম ধর জানিয়েছেন, কাজের বরাদ্ধ পেরেছিলাম তাঁর কাগজ আছে।এখন কাজ বন্ধ করতে বলেছে প্রশাসন থেকেl তাই সেই কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।এর থেকে বেশি কিছু বলতে পারব না।
শিববাড়ী কেশবপুর বিরুপক্ষ বানেশ্বর শিবমন্দির থামের পুরোহীত গোপাল গোস্বামী ও কেশবপুর বিরুপক্ষ বানেশ্বর শিব মন্দির থামের দায়িত্ব থাকা সেবাইত তন্ময় চক্রবর্তীরা জানিয়েছেন, প্রকল্পটি চালু হলে অনেক উপহার হত।আমরা চাই কাজটি শেষ দ্রুত শেষ করুন প্রশাসন।প্রয়োজনে জেলা প্রশাসনে যাব।
শ্যামল হাজরা কানু হাঁসদা, কাজল সরকারদের মত এলাকাবাসীরাও চাইছেন এখানে কমিউনিটি হল ঘরটির কাজ প্রশাসন দ্রুত শেষ করুক।
বালুরঘাটের সাংসদ ডঃ-সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করে বলেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে সাংসদ কোটার হতবিলে কমিউনিটি হল তৈরির জন্য ওই টাকা দেওয়া হয়েছিল।বরাদ্ধ পেয়ে ঠিকাদার কাজ শুরু করলেও কয়েকদিও আগে প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে কাজ করা যাবেনা। ইচ্ছেমত সেই কাজ কেন বন্ধ করল তা বুঝে উঠতে পারছিনা। প্রয়োজনে আদালতের দ্বারস্থ হব।
গঙ্গারামপুর ব্লকের বিডিও দাওয়া সেরপা জানিয়েছেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে সাংসদ কোটার ৩লক্ষ টাকা খরচ করে কমিউনিটি হল তৈরির কাজ করার কথা জেলা থেকে বলা হয়।ঠিকাদার কাজও শুরু করেন।কিছু দিন আগে সেই কাজ বন্ধ করার কথা জানানো হয় আমাকে।তাই জেলা প্রশাসনের কথামত কাজ বন্ধ করা হয়েছে। আমি আবার কথা বলব এই কাজটির বিষয়ে।
উন্নয়নের কাজ চালু করে তা আবার ফের বন্ধ করার ঘটনায় প্রশাসনের এমন মনভাবে রীতিমত শোরগোল পরেছে জেলাজুড়ে।