পিন্টু কুন্ডু , বালুরঘাট, ১৩ আগস্ট ––– স্বাধীনতা দিবসের আগেও ঢিলেঢাল হিলি সীমান্ত । খোদ অনুপ্রবেশের করিডরেই নেই বিএসএফের তেমন কোন নজরদারি । যদিও কড়া নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে বালুরঘাট রেল স্টেশন চত্বর । শুক্রবার সকাল থেকে রেলপুলিশ ও জি আরপির যৌথ তৎপরতায় রেলস্টেশনে চলে তল্লাশি অভিযান। সন্দেহজনক গতিবিধি নজরে আসা প্রত্যেককেই তল্লাশি করেন রেল পুলিশ ও জি আরপি । আগামী কয়েকদিন এমন কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থাই থাকবে স্টেশন চত্বরে বলে জানানো হয়েছে জি আরপির তরফে। স্বাধীনতা দিবসের একদিন আগে এমনই চিত্র ধরা পড়ল পুরো দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়।
ভারত-বাংলাদেশের তিনদিক সীমান্ত ঘেঁষা জেলা দক্ষিণ দিনাজপুর। জেলার ২৫২ কিলোমিটার বর্ডার এলাকার মধ্যে হিলিতে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার এলাকা আজো কাটাতার বিহীন উন্মুক্ত অবস্থায় রয়েছে। আর যাকে কাজে লাগিয়েই চলে পাচার সহ অনুপ্রবেশের মতো বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ কর্ম। হিলির এই সীমান্তই অনুপ্রবেশের অন্যতম করিডর হিসাবেই চিহ্নিত গোয়ান্দাদের কাছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা রিপোর্টে একাধিকবার উঠে এসেছে এই হিলি সীমান্তের নাম। যে সীমান্তকে কাজে লাগিয়েই নাশকতামূলক কাজকর্ম করার ছক কষে বিভিন্ন সংগঠন । সেখানে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতা দিবসের প্রাক মুহুর্তে কেন এমন ঢিলেঢালা নিরাপত্তা ব্যবস্থা তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও এব্যাপারে সাংবাদিকদের কাছে নিশ্চুপ থেকেছেন বিএসএফের কর্মকর্তারা।
বালুরঘাটের জিআরপি ওসি দীপেন্দু চক্রবর্তী জানিয়েছেন, সকলের নিরাপত্তার স্বার্থে চেকিং করা হচ্ছে । স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে এমন উদ্যোগ। আগামী কয়েকদিন ধরেই চলবে এমন কড়া নজরদারি।