নবীন আর প্রবীনের সংমিশ্রনেই চলবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল, সভাপতির দায়ীত্ব নিয়েই বললেন উজ্জ্বল বসাক। শ্রমিক স্বার্থ নিয়েই চলবে সংগঠন, দায়ীত্ব নিয়েই বললেন রাকেশ শীল
পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ১৭ আগস্ট— ‘নবীনের ধার আর প্রবীনের ভার’— এই দুইয়ের সংমিশ্রনেই চলবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতির দায়িত্ব পাবার পরে এভাবেই দলকে উজ্জীবিত করলেন উজ্জ্বল বসাক। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের আঙ্গিনা বোরইট উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত এই শিক্ষক জানান, তাঁর লক্ষ্য জেলার হিলি থেকে হরিরামপুর, কুশমন্ডি থেকে কুমারগঞ্জ সর্বত্রই সকলকে একসঙ্গে নিয়ে দল পরিচালনা করবেন। সোমবার বিকালে জেলা সভাপতি হিসাবে কুমারগঞ্জ তৃণমূল ব্লক সভাপতি উজ্জ্বল বসাকের নাম ঘোষণার পরেই দলের কর্মীরা উচ্ছাসে ফেটে পড়েন। বিশেষ করে, কুমারগঞ্জ ও বালুরঘাট ব্লকের তৃণমূল নেতা কর্মীরা আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে পড়েন। এদিন সন্ধ্যা হতেই শুরু হয় সংবর্ধনা। প্রথমে কুমারগঞ্জে ও পরে গভীর রাত পর্যন্ত বালুরঘাটেও চলে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। বালুরঘাট কংগ্রেস পাড়া এলাকায় উজ্জ্বল বাবুর বাড়ির সামনে দীর্ঘসময় দলের কর্মীদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা যায়। যদিও গভীর রাতে সেখানে পৌঁছতেই সংগঠনের তরফে তাকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। মঙ্গলবারও দিনভর জেলাজুড়ে চলে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। অন্যদিকে দীর্ঘ লড়াই এর পরে এবারে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতির দায়িত্বে আসেন শ্রমিক সংগঠনের জেলা নেতা রাকেশ শীল। বালুরঘাটের বাসিন্দা রাকেশ দলের বড় পদে না থাকলেও দলের শ্রমিক সংগঠনের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। স্থানীয় লোকজন বিশেষ করে শ্রমিক সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘদিনের যোগসুত্রও ছিল তার। বাম আমল থেকেই তিনি ডানপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন। শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতির দায়িত্ব ঘোষণার পরেই কর্মীদের তরফে দারুণ উৎসাহ দেখা যায়। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা ঠিকাদার সংগঠনের সঙ্গেও তিনি দীর্ঘদিন যুক্ত রয়েছেন। মঙ্গলবার ঠিকাদার সংগঠনের তরফেও রাকেশ শীলকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
রাকেশ শীল জানান, শ্রমিকদের স্বার্থে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালিয়ে আসছেন। সংগঠনের জেলা সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস ও শ্রমিকদের স্বার্থে তার লড়াই এ নতুন শক্তি পেলেন। আগামীতে শ্রমিকদের দিয়ে দলের শক্তিবৃদ্ধি তার অন্যতম লক্ষ্য।