চাঁচল:-তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতে আস্থা ভোটে গরহাজির সদস্যরা। বহাল থাকলো প্রধান ও উপ-প্রধানের পদ।আর অনুপস্থিত ঘিরে শুরু হয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল।
মালদার চাঁচল-২ নং ব্লকের জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিল দলেরই কয়েকজন সদস্য বলে সূত্রে জানা গেছে।সোমবার ছিল তৃণমূল পরিচালিত জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আস্থা ভোট।
তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রধান কিংবা পঞ্চায়েতের বাকি সদস্যের গরহাজিরে পঞ্চায়েতের বোর্ড পূর্বের মতো বহাল থাকলো বলে জানিয়েছেন প্রিসাইডিং অফিসার।
উল্লেখ্য,২০১৮ সালে ১৮ টি আসনের সবটিতেই তৃণমূল প্রতীকে জয়ী হয় সদস্যরা।পঞ্চায়েত প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন মাসতারা বিবি ও উপপ্রধান ফিরদৌসী খাতুন।তার একবছর পরেই একজন সদস্য প্রয়াত হন।বাকি ১৭ জন সদস্যের মধ্যে চারজনকে পঞ্চায়েত সংগঠন থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ।এছাড়া ২১ শের বিধানসভা নির্বাচনে বাকি চারজন সদস্য বিজেপিতে গেছেন বলে দাবি শাসকদলীয় পঞ্চায়েত প্রধানের।তারাই নাকি অনাস্থা এনেছেন এমনটাই জানিয়েছেন প্রধান মাসতারা বিবি।সোমবার নিয়ম মাফিক ছিল অনাস্থা প্রস্তাবের আস্থা ভোট।তবে গরহাজিরে পুরোনো বোর্ড বহাল থাকলো।
কিন্তু আস্হা ভোটের মধ্য দিয়ে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল।
তৃণমূল চার সদস্যের দাবি করেন ব্লক তাদের কে অনাস্থা নিয়ে চিঠি করলেও তা দলের অন্দরে কোনো মিটিং ডাকা হয়নি।
সদস্যরা দাবি করেছেন,তারা তৃণমূলেই র য়েছে।দল পরিবর্তন করেননি।কিন্তু তাদেরকে পঞ্চায়েত প্রধান এক ঘরে করে রেখেছেন বলে অভিযোগ।জালালপুর পঞ্চায়েতের এক সদস্যের স্বামী আহাদ সেখ অভিযোগ করে বলেন,প্রধান নিয়ম না মেনেই কাজ করছে।আমাদের দূরে সরিয়ে রেখেছে।গোটা ঘটনা নিয়ে আমরা জেলা নেতৃত্ব কে জানিয়েছি।
যদিও চাঁচল-২ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি হাবিবুর রহমান জানান, বিশৃঙ্খলা রুখতে মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী।বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এই জয়লাভ।কিছু বিরোধীরা পঞ্চায়েতের ভাব মূর্তি নষ্ট করার জন্য অনাস্থা আনে।
তবে পুনরায় সেই পদে প্রধান উপপ্রধান বহাল থাকিল।পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা আবির খেলায় মেতে উঠেন।