তপনের রামপুরের দিঘীর মালিক আদিবাসী সম্প্রদায়ের সরকারি কর্মচারী দিলীপ লাকডার ,উচ্চ আদালত দিলেন নির্দেশ ।পুলিশ প্রশাসন রায় এর কপি হাতে পেতেই দিঘী থেকেমারা হল মাছও
শীতল চক্রবর্তী ,তপন, ২৯আগষ্ট ,দক্ষিণ দিনাজপুর:-আদিবাসী সম্প্রদায়ের এক সরকারি কর্মচারীর পৈতিক সুত্রে পাওয়া দিঘী পুর্ণরায় উচ্চ আদালতের উল্লেখযোগ্য রায় পেতেই দিঘীতে মাছ ধরতে শুরু করলেন দিঘীর মধ্যে থেকে অবৈধ্য উপায়ে কেটে নেওয়া 13শতক জায়গা অন্যায়ভাবে কেটে নেওয়া হয়েছে বলেও উচ্চ আদালতের বিচারক দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের ভুমি সংস্কার দপ্তরের আরওকে শোকজ করে জবাব তলব করেছেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের রামপুরের কৃষ্টিবাটি এলাকার আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত সরকারি কর্মী বিচারকের এমন রায়কে স্বাগত জানিয়ে সত্যের জয় হল বলে মন্তব্য করে দোষিদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন।সেই সঙ্গে তাঁকে প্রাণনাসের জন্য জীবন সংশয়ের চেষ্টা করার ঘটনায় নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। উচ্চ আদালতের রায় পাবার পরে পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে তিনি তাঁর দিঘীর মাছ রবিবার ধরতে পারায় দারুন খুশি তিনি।যদিও তাঁর সঙ্গে যারা এমন কান্ড করেছেন তাঁদের নেতা জানিয়েছেন, আদালতের রায়ের কপি হাতে না পেলে কিছু বলা যাবে না।
তপন ব্লকের রামপুরের কৃষ্টবাটি এলাকার বাসিন্দা কৃষি দপ্তরের সরকারি কর্মী দিলীপ লাকড়ার পৈতিক সুত্রে ওই এলাকায় একটি ১০একরের দিঘী রয়েছে।সেই দিঘীর জমি নিয়ে দিলীপ বাবুর সঙ্গে বহুদিন ধরে অন্যপক্ষের বালুরঘাটের জেলা আদালতে মামলা চলার পরে জেলা বিচারক রায় দেন দিঘীটি দিলীপ লাকডার বলে।ইতি মধ্যেই আবারো উচ্চ আদালতে মামলা হলে দিলীপ বাবু প্রথম বেঞ্চে রায় পান এদিন তিনি জানান তাঁর কাগজ দিয়ে।এর পরেই দিলীপ বাবুর অভিযোগ,গত ৫আগষ্ট অবৈধভাবে সেই দিঘী থেকে ১৩শতক জায়গা তপন ব্লকের ভূমি সংস্কার দপ্তরে আন্দোলন করলে তা কেটে দেন আদিবাসীদের একটি সংগঠন৷এর পরেই আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত ওই সরকারি কর্মী পুরো ঘটনা নিয়ে কোলকাতা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন৷সেই মামলা চলার পরে বিচারক রায় দেন দিলীপ লাকড়ার পক্ষে যা তার কাগজ হাতে রয়েছে। এবিষয়ে দিলীপ লাকড়া জানিয়েছেন ,আদিবাসীদের সংগঠন জোর করে আমার দিঘী দখল করা সহ দিঘীর কিছু অংশ আন্দোলন করে কেটে নেন।এতে আমার৩০/৪০লক্ষ টকা ক্ষতি হয়েছে। আমাকে প্রাননাসের হুমকি দেওয়া সহ একাধিক ঘটন ঘটিয়েছে। বিচারক দিঘী আমার বলে রায় দিয়ে পুলিশি সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন৷দোষিদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে বিভিন্ন জায়গায় চিঠি দিয়েছে। যারা অব্ব্যৈ উপায়ে আমার দিঘীর জায়গা কেটে নিয়েছে আদালত তাঁদের শোকজ করেছে।এতে আমি দারুন খুশি৷
আদালতের রায়ের কপি হাতে পেয়েই আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত সরকারি কর্মী দিলীপ লাকড়া জেলা পুলিশ সেই চিঠির কপি দেন।এর পরেই প্রশাসনের নির্দেশে দিঘীর চারিদিকে থাকা সমস্ত ঝান্ডা তুলে দিয়ে পুলিশি হস্তক্ষেপে রামপুরে দিলীপ লাকড়া দিঘীতে মাছ ধরেন৷ এদিন দিলীপবাবু জানান, আদালতের রায়ে আমরা দারুন খুশি।দোষিদের এবার কঠোর শাস্তি হোক সেই দাবি জানাই।
জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন কাগজ হাতে পেতেই আদালতের নির্দেশেই সব কাজ
ভারত জগত মাঝি পরগনার একনেতা জানিয়েছেন, আদালতের রায়ের কপি হাতে পেলেই কিছু বলতে পারব।তাছাড়া এখন কিছু বলা সম্ভব নয়৷