প্রয়াত সিপিআই নেতার করোনার মৃত্যুর পরে স্বরুণসভার হাজির রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী,দলবদল ইস্যুতে দলবিরোধী আইন কার্যকর করার পরেই সাওয়াল করলেন তিনি।আগে ঘোড়া কেনাবেচা হচ্ছিল,এখন নাকি গাঁধা কেনা বেঁচা হচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন

0
524

শীতল চক্রবর্তী গঙ্গারামপুর ৫সেপ্টম্বর দক্ষিণ দিনাজপুর-শিক্ষক তথা প্রয়াত সিপিআই নেতার করোনার মৃত্যুর পরে তাঁর আত্মার শান্তি কামনায় স্বরণসভার আয়োজন করা হল।বরিবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর পৌরসভার 3 নম্বর ওয়ার্ডের কাদিঘাট বেলবাড়ি হাইস্কুলে সিপিআইদলের তরফে এমন স্বরণ সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিআই এর রাজ্য নেতা থেকে আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। যদিও রাজ্য জুড়ে বিধায়কদের দলবদলের ঘটনায় দলবিরোধী আইন কার্যকর করার পরেই তিনি সাওয়াল করেন। বলেন পদত্যাগ করে এসে ভোটে লড়াই করে আবার সে বিধায়ক হোক বলে রাজ্যের এই নেতা মন্তব্য করেন। তিনি অভিযোগ করেন আগে ঘোড়া কেনাবেচা হচ্ছিল, এখন নাকি গাধা কেনাবেচা হচ্ছে ,এর থেকে আর কিছু নয়।


গঙ্গারামপুর পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শিক্ষক প্রদীপ সরকার বেশ কিছুদিন আগে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেন।তাঁর বাড়ি একই এলাকায়৷প্রয়াত প্রদীপ সরকারের হাত দিয়েই বেলবাড়ি হাইস্কুলটি গড়ে ওঠে বলে যানা গিয়েছে। জন্ম লগ্ন থেকেই তিনি বাম ঘরানার মানুষ ছিলেন।তিনি সিপিআই দল করতেন বলে তাঁর পরিবার সুত্রে যানা গিয়েছে।৫সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের দিনেই সিপিআইদলের তরফে তাঁর স্বরণ সভার আয়োজন করা হয়।সেখানে রাজ্যের প্রাক্তন অসমরিক প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মন্ত্রী তথা রাজ্য সিপিআইনেতা শ্রীকুমার মুখার্জী।তিনি প্রয়াত নেতা প্রদীপ সরকারের ছবিতে মাল্যদান করে দলের তরফে সন্মান জানান।


রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্রীকুমার মুখার্জী জানিয়েছেন, শিক্ষক এই প্রয়াত নেতা প্রদীপ সরকারের স্বরণ সভায় হাজির হতেই এখানে আসা হয়েছে।তিনি দলের যেমন নেতা ছিলেন তেমনি দক্ষ শিক্ষক ছিলেন।তাই এমন দিনেই তাঁর স্বরণসভার আয়োজন করা হয়েছে।

পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্রীকুমার মুখার্জী জানান, রাজ্য জুড়ে বিধায়কদের দলবদলের ঘটনায় দলবিরোধী আইন কার্যকর করা হোক।ওই বিধায়ক পদত্যাগ করে এসে ভোট লড়াই করে আবার সে বিধায়ক হোক বলে রাজ্যের এই প্রবীণ নেতা এমন মন্তব্য করেন। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন,আগে ঘোড়া কেনাবেচা হচ্ছিল,এখন নাকি গাঁধা কেনা বেঁচা হচ্ছে।এর থেকে আর কিছু নয়৷


রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর এমন মন্তব্যে গঙ্গারামপুর সহ জেলাজুড়ে ব্যাপক শোরগোল পরেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here