অস্বচ্ছতা ও দুর্নীতির অভিযোগে প্রাথমিকের চাকরি হারাতে চলেছেন কুশমন্ডির বেড়ল স্কুলের শিক্ষক বিভাস দাস। কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বললেন মহকুমাশাসক।

0
1100

পিন্টু কুন্ডু,  বালুরঘাট, ৮ সেপ্টেম্বর  ———- সরকারী লক্ষ লক্ষ টাকা তছরুপের  অভিযোগে প্রায় তিনবছর ধরে বেতন বন্ধ এক প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের। একাধিক শোকজের জবাব না দেওয়ায় হারাতে চলেছেন চাকরিও। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি দক্ষিন দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি ব্লকের। এলাকার বেড়ল এফ পি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিভাস দাসের বিরুদ্ধেই উঠেছে এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। নিজের বিরুদ্ধে ওঠা এমন অভিযোগ কিছুটা স্বীকারও করে নিয়েছেন বালুরঘাটের বাসিন্দা ওই স্কুল শিক্ষক। কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে , একসুরে জানালেন মহকুমাশাসক ও সার্কেল ইন্সপেক্টর। আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়, বললেন জেলা তৃণমূল সভাপতি। 

বালুরঘাটের গৌড়িয় মঠ এলাকার বাসিন্দা বিভাস দাস। বর্তমানে কুশমন্ডির বেড়ল স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদে রয়েছেন। যার বিরুদ্ধেই উঠেছে সরকারী লক্ষ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ। প্রশাসন সুত্রের খবর অনুযায়ী বেশ কয়েকবছর আগে ওই স্কুলের উন্নতিকল্পে কয়েক লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। যে টাকা খরচ করলেও তার কোন ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা করেন নি ওই স্কুল শিক্ষক বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, মিড মিলের টাকা খরচের পরেও তার কোন ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা করেন নি ওই প্রধান শিক্ষক বলেও অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে সার্কেল ইন্সপেক্টরের তরফে শিক্ষক বিভাস দাস কে একাধিকবার শোকজ করা হলেও তার কোন সদুত্তর দিতে পারেনি তিনি। আর এর জেরে দীর্ঘ প্রায় তিনবছর ধরে বেতন বন্ধ হয়ে রয়েছে ওই স্কুল শিক্ষক বিভাস দাসের। আশঙ্কা তৈরি হয়েছে চাকরি হারাবারও। যে ঘটনা সামনে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়েছে গোটা দক্ষিন দিনাজপুরে। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা এমন অভিযোগ কিছুটা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক। 

শিক্ষক বিভাস দাস জানিয়েছেন, কিছু কাগজপত্র জমা দিতে না পারার জন্যই তার বেতন বন্ধ হয়ে রয়েছে কয়েক বছর ধরে। তবে সমঝোতা করবার প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

প্রাক্তন স্কুল শিক্ষক তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি উজ্জ্বল বসাক জানিয়েছেন, আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়। অন্যায় করলে তার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি পাওয়া উচিত।

কুশমন্ডির সার্কেল ইন্সপেক্টর সাফিয়ার রহমান বলেন, সরকারী টাকার কোন ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা করেন নি ওই শিক্ষক। দুবার শোকজেরও সঠিক জবাব দিতে পারেন নি তিনি। সেই কারনেই বেতন বন্ধ রাখা হয়েছে। আরো একবার শোকজ করা হয়েছে তাকে। এবারে জবাব দিতে না পারলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
কুশমন্ডির বিডিও অমরজ্যোতি সরকার বলেন, সার্কেল ইন্সপেক্টরের সাথে কথা বলে এব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।

মহকুমাশাসক মানবেন্দ্র দেবনাথ বলেন, বিষয়টি তিনি জানতেন না। সার্কেল ইন্সপেক্টরের সাথে কথা বলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here