নদী থেকে ভেসে আসলো মা ও শিশুর দেহ, পণের জেরে খুন দাবি মৃতার পরিবারের
চাঁচল, ১৩ সেপ্টেম্বর: ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে মহানন্দা নদী থেকে শিশু কন্যা ও এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ালো মালদার চাঁচোলের আশাপুর মহানন্দা নদী তীরবর্তী এলাকায়। ঘটনাস্থলে চাঁচল থানার পুলিশ।নদী থেকে মহিলার মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল মহানন্দ পুরের রাটট গ্রামের নদী তীরবর্তী এলাকা থেকে ভেসে আসতে দেখা যায় একটি শিশু কন্যার দেহ। স্থানীয়রা দেহটি উদ্ধার করে থানায় খবর দেয় চাঁচল থানায়। তবে সেই মুহূর্তে মৃত শিশুর কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি। আজ ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই চাঁচোলের আশাপুর মহানন্দা নদীর ঘাট থেকে শিশু কন্যার মা এর মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম প্রিয়া পারভীন ( ২৩), ও মৃত শিশুকন্যাটির নাম সেমি পারভীন ( ৩)। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪ বছর আগে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার ব্লকের গরাহার গ্রামের মোহাম্মদ সামিউল্লাহ রাজের নামে এক যুবকের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে পণের জন্য ওই মৃত গৃহবধূর ওপর অত্যাচার চালাত তার স্বামী বলে অভিযোগ। সেই অত্যাচারের জেরে গত একমাস আগে ৬ লক্ষ্য টাকা নাতি জামাই কে পন দেন মৃতার দাদু খলিল মাহমুদ। তার পরেও কেন আমার নাতনি ও তার তিন বছরের শিশুকন্যাকে খুন করা হলো তা নিয়ে ধন্দে রয়েছি আমরা। যদিও গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে চাঁচোল ও ইটাহার থানার পুলিশ। ইটাহার থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায় মৃত মহিলার স্বামী মোহাম্মদ সামিউল্লাহ রাজ কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে দুই জেলার পুলিশ।