দীর্ঘদিন ধরে বালি পাথর তোলা বন্ধ থাকার কারণে সমস্যায় পড়েছে এই ব্যবসা এর সাথে যুক্ত সমস্ত শ্রেনীর মানুষ।

0
260

শিলিগুড়ি:-দীর্ঘদিন ধরে বালি পাথর তোলা বন্ধ থাকার কারণে সমস্যায় পড়েছে এই ব্যবসা এর সাথে যুক্ত সমস্ত শ্রেনীর মানুষ।গ্রীন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ অনুযায়ী বর্ষার সময় নদী থেকে বালি পাথর তোলা বন্ধ রাখা হয়,কিন্তু এবছর সেই সময়সীমা পার হয়ে গেল সরকারের পক্ষ থেকে কোনরকম নির্দেশিকা আসেনি ঘাট খোলার বিষয়ে।সেই কারণে চিন্তায় পড়েছে এই ব্যবসার সাথে যুক্ত সমস্ত শ্রেনীর মানুষ।যে সমস্ত মানুষ নদী থেকে পাথর তোলার কাজ করে তাদের কথা অনুযায়ী দীর্ঘদিন ধরে নদী থেকে পাথর তোলা বন্ধ থাকার কারণে তাদের ঘরে ইতিমধ্যেই টান ধরেছে,তাদের ঘরের বাচ্চারা ঠিকমতো পড়াশোনা করতে পারছে না,সেই কারণে তারা সরকারের কাছে অনুরোধ করে যাতে অতি শীঘ্র নদী থেকে বালু পাথর তোলার অনুমতি দেওয়া হয়।সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজু দাস জানান,করোনার কারণে একদিকে এই ব্যবসার সাথে যুক্ত মানুষজন দশ বছর পেছনে চলে গেছে,আর একদিকে গ্রীন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ অনুযায়ী এই মুহূর্তে গাড়ি গুলো সব বন্ধ রয়েছে।

আমরা সরকারের কাছে আবেদন রাখছি ইমিডিয়েটলি নদীগুলো খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।তার কারণ লেবার থেকে শুরু করে বোজরি আলা,গাড়ির ড্রাইভার,মালিক তাদের পরিস্থিতি খুব সংগীন ঘর চালানোর মতো অবস্থা এখন এই যা পরিস্থিতি এখন দাঁড়িয়েছে হয় আমাদের আন্দোলনের পথে যেতে হবে তা না হলে একে একে আত্মহত্যা করতে হবে।তাই আমরা চাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটা খুলে দেওয়া হোক।দ্বিতীয়ত সরকারের পক্ষ থেকে যে পোর্টালের মাধ্যমে বালি-পাথর বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে,তার আমরা পুরো সমর্থন করছি না,এই কারণে সরকার পলিসি নিয়ে আসা রাজ্য সরকারের ঘরে ঢুকুক সরকারের ক্ষতি বন্ধ হোক এই বিষয়ে আমরা সরকারকে সহযোগিতা করব।কিন্তু এর পদ্ধতি কি রয়েছে সেটা আমাদেরকে জানানো হোক,তাতে আমরা সরকারের সাথে থাকতে রাজি হয়েছি। কিন্তু এটা মেনে নেওয়া যাবে না।গাড়ির মালিক,লেবার,বোজরি আলা এদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে, তাদের কর্মসংস্থান বন্ধ হয়ে যাবে,এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

তাই এই অনলাইন পোটালে কি রয়েছে সেটা আমাদের কাছে পরিষ্কার করা হোক।এছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দেখা গিয়েছে শক্তিমান গাড়ির রাস্তায় চলার ক্ষেত্রে যে সমস্ত নথি প্রয়োজন হয় সেই সমস্ত নথি অন্য অন্য জেলায় দিলেও দার্জিলিং জেলা এবং জলপাইগুড়ি জেলায় সেই সমস্ত নথি দেওয়া হচ্ছে না।যার কারণে মালিকরা চাইলেও সরকারের পক্ষ থেকে নটি অর্থাৎ ফিটনেস সার্টিফিকেট,পলিউশন,রোড ট্যাক্স,জমা নেওয়া হচ্ছে না।একই রাজ্যে বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন রকম নিয়ম কি করে হয় এই নিয়েও তারা প্রশ্ন তোলে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here