শীতল চক্রবর্তী কুশমন্ডি ১অক্টোবর দক্ষিন দিনাজপুর:-জেলার মধ্যে প্রথম কোন গ্রাম পঞ্চায়েত কৃষকদের সুবিধায় মিনি হিমঘর তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছে। প্রায় ১০ মেট্রিকটন জায়গা বিশিষ্ট এই হিমঘরের মধ্যে স্থানীয় কৃষকেরা ভেজ জাতীয় সব ধরনের সবজি সামান্য খরচে রাখতে পারবে বলে যানা গিয়েছে।দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমন্ডি ব্লকের ডিকুল এলাকায় অবস্থিত মালিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে লোহাগঞ্জে পঞ্চায়েতের নিজস্ব দুই একর জায়গার উপরে ছোট হিমঘর তৈরি করার উদ্যাগ নেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েতের প্রধান থেকে শুরু করে সচিব, নির্মান সহায়কেরা জানিয়েছেন, সরকারের পিবিজি প্রকল্পের টাকা খরচ করে কৃষকদের সুবিধায় এমন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। হিমঘরটি খুব তারাতারি তৈরি হলে এলাকার বহু কৃষক উপকৃত হবেন।কৃষকদের সুবিধায় খুব তারাতারি প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে।পঞ্চায়েতের এমন কাজে প্রশংসা করেছেন এলাকাবাসী থেকে গঙ্গারামপুরের মহুকুমা শাসকও।
জেলার মধ্যে কুশমন্ডি ব্লকটি যেমন কৃষিপ্রধান এলাকা, তেমনি এই ব্লকের মধ্যেই ডিকুল এলাকায় অবস্থিত মালিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭টি গ্রাম সংসদ এলাকাবাসীদের বেশিরভাগ বাসিন্দারাই কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বলে খবর।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কুশমন্ডি ব্লকের মালিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের চেয়ারে বসেন যুবক শ্যামল সরকার। প্রধানের চেয়ারে বসার পরেই তৃণমুলের প্রধান শ্যামল সরকার বাকি গ্রাম পঞ্চায়েতের সমস্ত সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে আলোচনা করেন।তিনি পঞ্চায়েতের নির্মান সহায়ক সুদীপ্ত দাস পঞ্চায়েতের সচিব বাবলু রায়, মালিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের কম্পিউটার অপেরেটর উদয় শঙ্কর বোস সহ বাকি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের পরামর্শে কিভাবে পঞ্চায়েতে সকলের জন্য বিশেষ করে কৃষি কাজের সেই যুক্ত থাকা এলাকাবাসীদের জন্য কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়নমুলক কাজ করার পরিকল্পনা নেন।পঞ্চায়েত সুত্রে খবর, ইতিমধ্যেই পবিজি প্রকল্পের ১৬লক্ষ টাকা খরচ করে মালিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতে লোহাগঞ্জে দুই একর জায়গার উপরে কৃষকদের সুবিধায় মিনি হিমঘর তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েতের তরফে। প্রায় ১০মেট্রিকটন জায়গা বিশিষ্ট এই হিমঘরের মধ্যে স্থানীয় কৃষকেরা ভেজ জাতীয় সব ধরনের সবজি সামান্য খরচে রাখতে পারব বলে পঞ্চায়েতের মিটিংএ সকলের সিদ্ধান্তে এমন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।এতদিন যদি কৃষকদের উৎপাদিত কাঁচা সবজি বাজারে বিক্রি না হয় তাহলে বাড়িতে নিয়ে না এসে ফেলে দিতেন। এর ফলে তাঁরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তেন। সেই কারনেই এমন উদ্যাগ নেওয়া পঞ্চায়েতের বলে জানানো হয়েছে। কাজও খুব তারাতারি শুরু করা হবে বলেও পঞ্চায়েতের তরফে জানানো হয়েছে। এই প্রকল্পটির কাজ দ্রুত শুরু করে তা শেষ করা হলে বহু কৃষক উপকৃত হবেন।
সুত্রে যানা গিয়েছে, জেলাতে বর্তমানে ৬৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ৮টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে কুশমন্ডি ব্লকের মালিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েত এমন প্রকল্পের উদ্যাফ নেওয়া বলেই যানা গিয়েছে।
মালিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মান সহায়ক সুদীপ্ত দাস জানিয়েছেন, আমরা চেয়েছি পঞ্চায়েতের তরফে কৃষকদের সুবিধায় একটি ছোট হিমঘর তৈরি করে সুবিধা দিতে।খুব তারাতারি কাজ যেমন শুরু হবে তা শেষও কয়েক মাসের মধ্যে হয়ে যাবে। এতে বহু কৃষক উপকৃত হবেন।
মালিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েত সচিব বাবলু রায় জানিয়েছেন,পঞ্চায়েত সব সময় সকলের পাশে থেকে কাজ করে যাবার জন্য এমন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এতে কৃষকদের সুবিধা হবেই।
মালিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমুলের প্রধান শ্যামল সরকার জানিয়েছেন, আমি সব সময় চেয়েছি পঞ্চায়েত এলাকার মানুষজনদের জন্য উন্নয়নমুলক কাজ করতে।তাই এবার কৃষকদের কথ মাথাই রেখে এমন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কাজ খুব তারাতারি শুরু করা হবে।
কুশমন্ডি ব্লকের মালিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের এমন কাজে খুশি হয়েছেন গঙ্গারামপুরের মহুকুমা শাসক মানবেন্দ্র দেননাথ। তিনি বলেন, এটা খুবই ভালো উদ্যাগ। বাকিদেরউৎসাহিত করবে।
এই গ্রাম পঞ্চায়েত এমন অভিনব উদ্যাগ নেবার ফলে জেলাতে সারা ফেলে দিয়েছে।