শীতল চক্রবর্তী কুশমন্ডি 30 অক্টোবর দক্ষিণ দিনাজপুর:-এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকাজুড়ে। অভিযোগ উঠেছে, ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই ওই যুবককে বিষাক্ত কিছু খাইয়ে অসুস্থ করেছিল অন্য যুবক বলেও অভিযোগ।ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমন্ডি থানার বাসুদেবপুর।রবিবার ভোরে মালদা শহরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই যুবকের মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে।মৃতের পরিবারের তরফে কুশমন্ডি থানায় অভিযোগ দায়ের করবেন বলেও জানা গিয়েছে।পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।পুরো ঘটনায় শোরগোল পড়েছে এলাকাজুড়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবকের নাম বিশ্বজিৎ সরকার(18)বাড়ি কুশমন্ডি থানার বাসুদেবপরে। সূত্রে জানা গিয়েছে, কদমকুড়ি এলাকার ১৮ বছরের এক কিশোরী সুমি সরকারের সঙ্গে চৌষা গ্রামের বিশ্বজিৎ সরকার এবং কুশমন্ডির কদমডাঙ্গা শিলিগুড়ি মোড়ের যুবক মহাদেব সরকারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত বুধবার এনিয়ে তিনজনের মধ্যে গোলমাল বাধে বলে সূত্রে খবর। বিশ্বজিতের পরিবারের অভিযোগ, সুমি বিশ্বজিতকে ও মহাদেবকে ভালোবাসত কিন্তু বিশ্বজিৎ তাকে বিয়ে করতে চাইলে সে নাকচ করে। এই ঘটনা নিয়ে সুমি ও মহাদেব মিলে বিশ্বজিৎকে হেনস্তা ও অপমান করে বলে খবর।গত বুধবার রাতে মহাদেব ফোন করে বিশ্বজিতের পরিবারকে বলে বিশ্বজিৎ বিষ খেয়ে পড়ে আছে এবং সেই রাতেই এলাকারই কুশমন্ডি থানার নড়বড়া শিব ব্রিজের কাছে বিশ্বজিৎকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে পরিবারের লোকজনেরা।তাকে প্রথমে স্থানীয় কুশমন্ডি ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে কালদিঘি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।কিন্তু সেখানেও শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় শুক্রবার বিকেলে তাকে মালদা শহরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। রবিবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়
মৃত বিশ্বজিতের দিদি মল্লিকা দেবনাথ অভিযোগ করে বলেন, মহাদেব ও সুমি চক্রান্ত করে বিশ্বজিৎকে বিষাক্ত কিছু খাইয়েছিল এবং শেষ পর্যন্ত সে মারা যায়।বিষয়টি নিয়ে তারা থানায় অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন।
গঙ্গারামপুর এর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন,বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।
এমন ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে এলাকারজুড়ে।