শিলিগুড়ি:-
সোমবার থেকে রাজ্যের সবচাইতে বড় অক্সিজেন প্লান্ট চালু হল এই কলেজ ও হাসপাতালে।প্রতি মিনিটে দু’হাজার লিটার অক্সিজেন উৎপন্ন করতে পারে,সেই ধরনের প্লান্টের পথ চলা শুরু হলো এদিন থেকে।ফলত উত্তর-পূর্ব ভারত,সিকিম সহ গোটা উত্তরবঙ্গ এমনকি নেপাল,ভুটান থেকে চিকিৎসা করতে আসা রোগীদের আর অক্সিজেনের অভাবে প্রান দিতে হবে না বলে দাবী কলেজ ও হাসপাতাল কতৃপক্ষের।স্বভাবতই খুশি সাধারণ মানুষ।গত দু’বছর ধরে চলতে থাকা কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের দাপটে গোটা বিশ্বের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের চিকিৎসক মহল এবং সাধারণ মানুষ কার্যত নাজেহাল।২০১৯সালের শেষের দিক থেকে শুরু হওয়া এই ভাইরাসের আক্রমনে গোটা দেশের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের বহু মানুষ সংক্রমিত হয়ে,হয় মৃত্যু হয়েছে,নয় দীর্ঘ চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে উঠেছে।এই করোনার সংক্রমনে সবচাইতে বড়ো সমস্যা যেট সামনে এসে দাড়িয়েছে,সেটা শ্বাস কষ্ট ও শরীরে অক্সিজেনের অভাব তৈরি হওয়া।আর তাতেই বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে এতদকাল পর্যন্ত।আর গোটা রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতাল সহ উত্তরবঙ্গের একমাত্র ভরসা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেও পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাবে শ্বাস যন্ত্র অচল হয়ে মৃত্যু হয় বহু মানুষের।আর সেই অক্সিজেনের অভাব কাটিয়ে উঠতে এবার রাজ্য সরকারের স্বাস্থ দপ্তরের উদ্যোগে কলেজ ও হাসপাতালে রাজ্যের অন্যতম সর্ববৃহত অক্সিজেন তৈরি করার কারখানা তৈরি করে রাজ্য সরকার।সেই কারখানারই শুভারম্ভ হলো সোমবার থেকে।স্বাস্থ দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, প্রতি মিনিটে ২হাজার লিটার অক্সিজেন তৈরি করতে পারার মত ক্ষমতা সম্পন্ন এই কারখানা নির্মান করতে কয়েক কোটি টাকা খরচ করেছে রাজ্য স্বাস্থ দপ্তর।স্বাস্থ দপ্তরের দাবি,অতি অল্প সময়ের ব্যবধানে পরিবেশের বায়ু বা বাতাস নিয়ে অধিক পরিমাণে অক্সিজেন তৈরির ক্ষমতা সম্পন্ন এই ধরনের প্লান্ট বা কারখানা রাজ্যের আর কোন সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালেই নেই।এই অক্সিজেন কারখানা প্রসঙ্গর উত্তরবঙ্গের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি (জনস্বাস্থ্য) ডাঃ সুশান্ত রায় জানান,দীর্ঘদিন ধরেই গোটা উত্তরবঙ্গের জন্য অক্সিজেন প্লান্ট নিয়ে লড়াই চালাচ্ছিলাম।এই প্লান্টটি আগে হাজার লিটার ছিল,পরে সেটাকে দু’হাজার লিটারে আপগ্রেড করে এদিন থেকে জনগনের উদ্যেশ্যে উৎসর্গ করা হলো।এই মেডিক্যাল কলেজে আজ পর্যন্ত অক্সিজেনের তেমন একটা অভাব হয়নি।তুবও এই প্লান্টের পাশাপাশি আরও একটি লিকিউইড অক্সিজেন প্লান্টের কাজ শুরু হয়েছে।আগামী দিনে আর কখনই অক্সিজেনের অভাব হবে না বলে দাবী তার।এই প্লান্টের কারণে অক্সিজেন নষ্ট বা অপচয় হওয়ার সম্ভবনা কম এবং প্রতিটি ওয়ার্ডের প্রতিটি বেডের রোগীদের কাছে খুব সহজেই পাইপ লাইনের মধ্যমে অক্সিজেন পৌঁছে যাবে বলে ডাঃ রায় জানান।বর্তমানে চলতে থাকা করোনার দাপটের পাশাপাশি গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে এআরআই,আরএসভি,ইনফ্লুয়েঞ্জা বি সহ স্বাসযন্ত্রে আক্রমন কারি বিভিন্ন ভাইরাসের উপদ্রবে কাহিল বিভিন্ন বয়সি সাধারণ মানুষের বহু শিশুও।অনেকেরই তীব্র শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছে।মৃত্যুও হচ্ছে অনকেরই।লাগাতার প্রয়োজন হচ্ছে অক্সিজেনের।এই সব সমস্যারই মুশকিল আসান হতে পারে নতুন এই পিএসএ প্লান্টটি তৈরির ফলে।