চাঁচল; ০৮অক্টোবর: জেলায় তৃণমূল বোর্ডের একাধিক প্রধানের বিরুদ্ধে দলের সদস্যদেরই অনাস্থা পেশ করার ঘটনা ঘটেছে। কোথাও বিরোধী বিজেপি, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেধে তৃণমূল প্রধানকে অপসারিত করেছেন তৃণমূল সদস্যরা। যা নিয়ে দলের অন্দরেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। দলের অনুমতি ছাড়া দলের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা পেশ করা যাবে না বলে নেতৃত্বের তরফে কড়া বার্তাও দেওয়ার পরেও তা আটকানো যায়নি। এবার অনাস্থা এড়াতে অন্যপথে হাঁটতে শুরু করল তৃণমূল।
মালদহের চাঁচল-২ ব্লকের ভাকরি গ্রাম পঞ্চয়েতে অনাস্থা ছাড়াই পাল্টে গেল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। ঘটনাক্রমে ওই এলাকারই জনপ্রতিনিধি আবার জেলা পরিষদের তৃণমূলের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রফিকুল হোসেন। ফলে কার্যত নীরবে ওই প্রধান পাল্টানোর ঘটনার পর অনাস্থাকে রুখতে এবার তৃণমূল ওই পথে হাঁটবে বলে মনে করছেন দলেরই একাংশ।
ভাকরি গ্রাম পঞ্চায়েতে এদিন ছিল নতুন প্রধান নির্বাচনের দিন। বোর্ডের নতুন প্রধান হয়েছেন সুমিত দাস। আগে প্রধান ছিলেন নুর হোসেন। সম্প্রতি তিনি ইস্তফা দেন। ইস্তফার পর দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এদিন তিনি কার্যত নীরব ছিলেন। দলের বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ প্রকাশ করেননি।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৪ আসনের পঞ্চায়েত তৃণমূল, বিজেপি ও সিপিএম তিনটি করে আসন পেয়েছিল। কংগ্রেস চারটি ও নির্দল একটি আসন পায়। পরে কংগ্রেস ও বিরোধী সদস্যদের কয়েকজন তৃণমূলে যোগ দেন। প্রধান হন তৃণমূলের নুর হোসেন। কিন্তু সম্প্রতি তাকে সরাতে অনাস্থার প্রস্তুতি শুরু করেন দলেরই সদস্যরা। কিন্তু জেলা নেতৃত্ব যেখানে অনাস্থার বিপক্ষে সেক্ষেত্রে জেলা সভাপতির নিজের এলাকায় দলেরই প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা হলে তা ভুল বার্তা যাবে। তারপরেই নড়েচড়ে বসেন নেতৃত্ব। অনাস্থার আগেই পদত্যাগ করেন প্রধান।