পিন্টু কুন্ডু , বালুরঘাট, ১৮ অক্টোবর— অস্ত্র ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে এক কেএলও জঙ্গীর আত্মসমর্পণ বালুরঘাটে। সোমবার দক্ষিন দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার অফিসে কেএলও জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় সদস্য বছর ৩২ এর সুদীপ সরকার ওরফে পিন্টু বড়ুয়া কোচ আত্মসমর্পণ করেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের বড়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা সে।
পুলিশ জানায়, জঙ্গী সংগঠনে যুক্ত থাকাকালীন সময়ে সুদীপের নাম ছিল পিন্টু বড়ুয়া কোচ। তিনি কেএলও জঙ্গি সংগঠনের সোশ্যাল মিডিয়ার দায়িত্বে ছিলেন। এদিন রাজ্য সরকারের প্রতি আস্থা রেখে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করেছেন তিনি। সোমবার সকালে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে এমন কথাই জানিয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে। জেলায় এই নিয়ে মোট চারজন জঙ্গিকে সমাজের মূল স্রোতে ফেরানোর পাশাপাশি আত্মসমর্পণকারীদের সকলের চাকরিরও ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার।এদিনের এই সাংবাদিক বৈঠকে জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহঃ নাসিম, ডিএসপি হেডকোয়ার্টার সোমনাথ ঝাঁ। উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়তেই ভারতের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তালিবানদের সংযোগ তৈরি হয়েছে এমন চিন্তায় যেন কিছুটা ঘুম উড়েছিল ভারতীয় গোয়ান্দাদের। যা থেকে দেশের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সতর্ক হয় প্রশাসন। গোটা দেশের সাথে এরাজ্যের উত্তরবঙ্গকে আলাদাভাবে সতর্ক করেন গোয়েন্দারা। কেননা একটি ভিডিয়ো বার্তায় কেএলও নেতা জীবন সিং কামতাপুর নামক একটি আলাদা রাষ্ট্রের দাবি জানায়। যা সামনে আসতেই রাজ্যের সমস্ত জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসার জন্য আহ্বান জানান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হিংসার পথ ছেড়ে শান্তিপূর্ণভাবে জীবনযাপন করার জন্য সবরকম সহযোগীতার বার্তাও দেন তিনি। আর তারপরেই এদিন ওই কেএলও জঙ্গীর এমন আত্মসমর্পনে যথেষ্টই আলোড়ন পড়ে।
জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে জানিয়েছেন, জঙ্গি সংগঠন ছেড়ে একজন সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে চেয়েছে। তাকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
আত্মসমর্পণকারী সুদীপ সরকার জানিয়েছেন, সরকারের প্রতি আস্থা রেখে তিনি সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে চেয়েছেন। এদিন তিনি জেলা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।