সংসারের হাল সামলাতে বাবার সাথেই লক্ষী সহ বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি তৈরীতে হাত লাগিয়েছেন সদ্য বিএড সম্পন্ন হওয়া মেয়ে পারমিতা পাল।

0
388

জলপাইগুড়ি:- সংসারের হাল সামলাতে বাবার সাথেই লক্ষী সহ বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি তৈরীতে হাত লাগিয়েছেন সদ্য বিএড সম্পন্ন হওয়া মেয়ে পারমিতা পাল। তবে একাজ সে আজ থেকে করছে না। বয়স যখন ১২, তখন থেকেই বাবার সাথে সহযোগিতা করে চলেছে সে। জলপাইগুড়ি মোহিত নগরের গৌরীকোণে তিন ঘর পাল পরিবার রয়েছেন। তারা সকলেই মৃৎশিল্পের সাথে যুক্ত। অর্থাৎ এ থেকেই তাদের সংসার অতিবাহিত হয়। কিন্তু গত দুই বছর ধরে করোনাজনিত কারণে এই পেশাতেও প্রভাব পড়েছে যথেষ্ট। মূর্তির অর্ডার বা বিক্রি অনেকটাই কমেছে তাদের। লক্ষ্মী পুজো চলছে। তার মধ্যেও হাল ফেরানোর আকুল চেষ্টা এখানকার শিল্পীদের। পারমিতার বাবা প্রাণগোপাল পাল দীর্ঘ কয়েক দশক ধরেই এ পেশার সাথে যুক্ত। পারিবারিক সচ্ছলতা আনতে মেয়েও তার সাথে কাজ করে চলেছে বলে জানান শিল্পী প্রাণগোপাল বাবু। স্থানীয় আরেক শিল্পী সুভাষ পাল বলেন, এতদিন পর্যন্ত সব ঠিক ঠাকই চলছিল। কিন্তু করোনা বেশ কিছু প্রভাব ফেলেছে তাদের শিল্পের ওপর। লক্ষ্মী পুজোর বেশকিছু মূর্তি তিনি বানিয়েছেন। বিক্রিও হচ্ছে। তবে করোনা পরিস্থিতি না থাকলে বিক্রির পরিমাণটা আরো বাড়তো বলে জানান তিনি। তবে শিল্প ও শিল্পীদের বাঁচিয়ে রাখতে যথাযথ একটি সরকারি প্যাকেজের প্রয়োজন রয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here