জলপাইগুড়ি:- অরুনাচল প্রদেশ থেকে আসাম হয়ে গুজরাটের উদ্দেশ্যে দুটি হাতিকে একটি লরিতে নিয়ে যাওয়ার সময় জলপাইগুড়ি তিস্তা সেতু ফরেস্ট চেকপোস্টে আটকাল রাজ্য বনদপ্তরের আধিকারিকরা। রবিবার রাত প্রায় ১১ টার ঘটনা। আটক করা হয়েছে হাতির সাথে থাকা মাহুত, ট্রাক ড্রাইভার সহ ৪ জনকে। এদিন রাতেই হাতিগুলোকে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি বনবিভাগের আধিকারিকরা গরুমারা জাতীয় উদ্যানে নিয়ে যান। মাহুত ও ট্রাক ড্রাইভারের কাছে থাকা সমস্ত কাগজ ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত বিভাগীয় বনাধিকারিক রাহুল দেব মুখোপাধ্যায়। বনদফতর সূত্রে খবর, অরুনাচল প্রদেশ থেকে একটি মা ও সন্তান হাতিকে গুজরাটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। অরুণাচল প্রদেশের দেওয়া কাগজপত্র সঠিক থাকলেও যেহেতু আসাম হয়ে হাতিগুলো আসছিল, তাই আসাম সরকারের সমস্ত বৈধ কাগজপত্র ছিল না বলে সূত্রের খবর। এই হাতি গুলির বৈধ কাগজ নেই। আসামের ধুবরি জেলার বনবিভাগের আধিকারিকরা রাজ্য বনদফতরের সাথে যোগাযোগ করে হাতিগুলোকে আটকানোর ব্যবস্থা করেন। এই হাতি বোঝাই ট্রাকটিকে আসামের বিভিন্ন চেকপোস্টে আটকানোর চেষ্টা করলেও তারা আটকাতে পারেনি বলে খবর। বাধ্যহয়ে তারা খবর দেয় পশ্চিমবঙ্গ বনবিভাগের আধিকারিকদের। এদিন অতিরিক্ত বিভাগীয় বনাধিকারিক রাহুল দেব মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বনকর্মীরা জলপাইগুড়ি তিস্তা ফরেস্ট চেকপোস্টে দীর্ঘখন অপেক্ষা করার পরে দুটি হাতি সহ ট্রাকটিকে আটক করেন৷ মা ও বাচ্চা হাতি সুস্থ রয়েছে চিকিৎসকের পরামর্শে তাদের দেখভাল এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সমস্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখার পর সঠিক থাকলে তা ছেড়ে দেওয়া হবে বলে বনদপ্তর সূত্রে খবর।অন্যদিকে হাতির সাথে থাকা এক ব্যক্তি নিজের নাম পিল্লাই বলে দাবি করেন। হাতিটিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য সমস্ত কাগজ তারা নিয়ে এসেছেন বলে দাবি করেন তিনি।